গভীর নিশিথে চুপ করে যাওয়া রাত প্রানী, চিৎকার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া কুকুর,
সদ্য বিধবার মতো নির্জন এঁদো গলি পথ,
রাতের গভীরতায় পেঁচা গুলোও হয়তো ... ধরনী...একেবারে নিঃস্তব্দ নিশ্চুপ।
বিনিদ্র রাতে ঘড়ির কাঁটার টিক্ টিক্
শ্বাস-প্রশ্বাস যেনো বুনো জানোয়ারের গর্জন
এমনকি বুকের বামে হৃদস্পন্দনের শব্দ ,
প্রত্যেকটা একে ওপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।
জাগ্রত হয়েছে পঞ্চ-ইন্দ্রিয় প্রতি বারের ন্যায়
নির্জনে জেগে উঠেছে, প্রচণ্ড কোন্দল বেধেছে
আবেগের সাথে বিবেকের,
জোর ধাক্কায় বিছানা ছেড়ে, কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
ল্যাম্প-পোস্টের আবছা আলোয়,
দর্পনে নিজের অবয়ব ,
হুবহু আমার মতোই,
আর পাঁচটা মানুষের মতোই,
কিংবা মানুষ রূপি পশুর মতোই
বিভৎস হিংস্র
এত হিংসা ঘৃনা ক্রোধ আমারই ভিতর?
তপ্ত তামার মতো আঁখি, ভয়ানক শক্তিশালী।
শকুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আমারই প্রতিচ্ছবি!
যুদ্ধের হুঙ্কার, গুরু গম্ভীর গর্জন আমিও প্রস্তুত
তার পর হটাৎ
পচন্ড ভয়ে আঁতকে উঠি
লাইট টা জ্বেলে দেখি
পাশবতায় আতঙ্কিত মানবতা
ভীতরের পশুটা বারে বারে শাসানি দেয়
আজও সে লুকিয়ে তোমাতে-আমাতে
রক্তে রক্তে শিরায় শিরায়