নাহ, নদীটা এমন ছিলো না
আমার নদী অনেক অন্যরকম ছিলো
এলোমেলো ঘাস ছিলো
রোদ ছিলো
কালবৈশাখীর রাতে
নদীকে মনে পড়ত
মনে হতো
কেমন স্রোত হচ্ছে এখন
বন্ধুদের মিলনমেলায়
আবার আসতো নদী
সিগারেট টানার সেই প্রথম বেলা
সেই প্রথমের সন্ধ্যা-
অলীক ভালোলাগায় আচ্ছন্ন
মদহীন নেশা
সেই প্রথম কর্ড বাজানো
দু তিন কর্ডের সীমিত সুর
অত কাতর কি করে করতো-
আমার নদী ওমন ছিলো
অল্পে সন্তষ্ট
নদীতীরে দেখতাম কুড়েঘর কিছু,
মাটিচুলার ধোয়াসমগ্র,
মাজারী গোছের দাড়িয়াল কিছু লুঙ্গিধারী;
তারা গাঞ্জা ধরাতেন
নদীর গোছানো অন্ধকারে
কি মায়াবী নদী ছিলো
রাতের গহীনতম রাতে
কিন্তু আজ আমার নদীর পাশে
নরকের রেস্তোরা আর
পিশাচের বাচ্চাদের পার্ক,
কূলে কুলাঙ্গারের
কংক্রিটের জিঞ্জির
ওহ, আমার নদী!!
লজ্জায়, বেদনায়
তোমার মুখ দেখতে পারি না
মুখ দেখাতে পারি না
এই সন্ধ্যায়
ঝিড়িঝিড়ি বৃষ্টিতে
ঝিঝির ডাক শুনতে শুনতে
সিগারেট হাতে
নদীর পাশে
এক অদ্ভুত নদীহীনতায় ভুগছি।