দুয়ার খুলে দাও ; আঙ্গিনায় দাড়িয়ে আছি
অনেক সময়ের ব্যবধানে।
নিশিত রজনী কেটেছে জোনাকির আলো মেখে,
আধাঁর গিলেছে কত না বার!
খুলে দাও দ্বার।
নিদ ডেকেছে ততটা, যতটা না ডেকে ক্লান্ত ঝিঁঝিঁপোকাও।
শুধু আগ্রহ এখনো ডাকছে তোমায়।
আকাশে চাঁদ ছিল না, তারারাও তাই এল না।
তবু দাড়িয়ে দুয়ারে, খুলবে কি দ্বার?
এখানে যে ভীষণ আধাঁর!
মেঘেরা এগিয়ে এল, হয়তবা মায়া হল।
আখিঁ জল দেখে বৃষ্টিকে এগিয়ে দিল।
এখনো তুমি চেয়ে দেখনি একবার!
হিমেল বাতাশও বুঝি এল এবার।
খুলে দাও দ্বার।
মশারা কি বলছে জানি?
বুঝতে না পারায় দিচ্ছে চুলকানি।
রাত্রি শেষে বিহগেরা এসে
চুপিসারে গেছে দেখে।
তুমি কি জেগেছ?
অভিমান ভুলে আসবে কি এবার?
তবে হবে কি আমার?
একটি বার খোল দ্বার।
শিশির কণা ডেকে বলছে অবশেষে
সময় ফুরিয়েছে আমার;
সূর্যি মামা ঐ আসছে দেখতে তোমায়।
হায়! লজ্জাবতীও দুলছে শেষে
প্রজাপতিও কি দেখবে এ বেশে!
বরং খোল না দ্বার।
ফিরেও যেও আবার।
দুয়ার খুলে বাবা দেখল দেখল শেষে
মিষ্টি মেয়েটি কাঁদছে বসে 'গোর' এর পাশে।
ভাঙ্গা গলায় বাবা বললেন কেশে-
কোথায় তোমার দ্বার?
'মামণি' তা খুলবে না'কো আর।
ফিরে চল স্মৃতির বুকে;
তাইনা দেখে 'মামণি' থাকবে সুখে
যদি থাক তুমি হাসিমুখে।
কেঁদনা এখানে আর।
আমার কি ভার?
কেন তোমার মুখ জলে একাকার?
দেখ! বুনো লতা-পাতা কেমন আটকে আছে
কতই না পরম আদরে মায়ের বুকে!
ফিরব বল কোন মুখে?
দেখ না প্রজাপতিও উড়ছে হেথায় বারংবার।
দুয়ার খোল না আম্মু একটি বার!