তোমার বুকে যে তেজস্বী আগুন দপ দপ করে জ্বলে ওঠে
সে আগুনে জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয় আমার স্নায়ু অকপটে
সে আগুনের লেলিহান শিখা আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে
আমার দেহ সারাক্ষণ
ঝলসে দেয় শরীরের প্রতিটি থরে থরে
দিক্বিদিক ছুটে যায় আমার মন।
তোমার চুলোর আগুন
আমার খড়ি পুড়িয়ে পুড়িয়ে
লাল লৌহ-আগুন করে তোলে
চিত্ত আমার ঔদ্ধত্য গুমরে ওঠা গরমে
নাভিশ্বাস খোঁজে আকাশে পাতালে।
অতঃপর কোনও এক নির্জন রাতে
খড়ি-চুলো খড়ি-চুলো খেলতে খেলতে
চুলোর উপরে থাকা পাতিলের পানি
টগবগিয়ে ফুটতে ফুটতে বেরিয়ে আসতে থাকে
সে পানিতে নিভে যায় সব আগুন
নিভে যায় সব জ্বলা-উত্তাপ
যেন শুরু হয় এক নতুন ফাগুণ।
তারপর শান্ত পরিশ্রান্ত এক হিমেল আবেশ
ঠাণ্ডা শীতল যেন বরফের দেশ
আবার তোমার বুকের আগুন
গলিয়ে দেয় সব জমাট বরফ
আবার লাল লৌহ-আগুন
আবার বরফ আবার আগুন
এ আগুন আর বরফের খেলা যেন চিরন্তন।