কবিতা! কেমন আছো তুমি?
কবিতা! এখন তুমি কার?
কতো দিন আমি খুঁজেছি তোমায়
শীতের ভোরে গভীর কুয়াশায়
নতুন আউশের টাটকা পিঠার
মিষ্টি সৌরভে খুঁজেছি তোমায়
অলস দুপুরে ছোট্ট পুকুরের
পাড়ে বসে বসে গভীর মগ্নতায়
হারিয়ে গিয়ে খুঁজেছি তোমায়
হঠাৎ মাছরাঙার মাছ ধরার শব্দে ভেঙ্গেছে চেতনা।
বর্ষণমুখর সন্ধ্যা গুলোতে
রজনীগন্ধা ফোঁটার মুহূর্ত গুলোতে
খুঁজেছি তোমায়
বসন্তের কৃষ্ণচূড়ার সারিতে সারিতে
বাসন্তী রঙের ফুলের মেলাতে
আকাশের গভীর নীলিমায়
গোধূলির তামাটে ধূসরতায়
ধুলো পড়া পুরনো ডাইরির পাতায়
মাঝ রাতে সিগারেট হাতে গভীর চিন্তার মগ্নতায়
শুধুই খুঁজেছি তোমায়।
কবিতা – তুমি কি বর্ষার নদী দেখেছো?
তুমি কি দেখেছো বৃষ্টিরা কিভাবে
নদীর বুকে মাথা লুকায়?
তুমি কি দেখেছো তখন চারিধারে
কেমন শব্দের ছন্দে মুখরিত হয়?
কবিতা – এখন তুমি কার?
কবিতা – এখন তোমার বয়স কতো?
তুমি কি চিরযৌবনা? চির অমর?
নাকি সুনীল গাঙ্গের ৩৩ বছর?
তুমি কি শেলির অজিমান্ডিয়াস?
নাকি তুমি মিল্টনের প্যারাডাইজ।
তুমি কি ভ্যালেরিয়ার কাছে
তলস্তয়ের ভালোবাসার পত্র?
নাকি তুমি রুদ্রের মানুষের মানচিত্র।
তুমি কি জীবনানন্দের বনলতা?
নাকি শামসুর রহমানের স্বাধীনতা।
তুমি কি সেক্সপিয়ারের এ লাভারস কমপ্লিয়ান্ট?
না কি তুমি টি এস ইলিওটের দ্যা ওয়েস্টল্যান্ড।
তুমি কি শেষের কবিতা, রবীন্দ্রনাথের?
তবে তুমি কি অগ্নিবীণা, নজরুলের?
নাকি তুমি পারে লয়ে যাও আমায়, ফকির লালনের।
তুমি কি এমিলির
উইদিন দাট লিটিল হাইভি?
নাকি তুমি রুমির মাছনাভি।
তুমি কি হোমারের অডেছি?
নাকি জন কিটসের অন দ্যা সী।
তুমি কি ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াৎ?
নাকি তুমি ওয়ার্ডসওয়ার্থের লিরিক্যাল বালাদ
কবিতা! এখন তুমি কার?
তুমি কি আমাদের সবার?
হয়তো তুমি নয় কারুর
কিংবা তুমি সকল কবিতা প্রেমীদের।