একটা না-লেখা কবিতার প্রথম পঙক্তিতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল কবির,
কবিতাটার প্রথম পঙক্তিটা শুয়েছিল কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম লাইনের উপর ১৯৫৪ সালের ১৪ই অক্টোবরে।
কবির চোখের সাথে শরীরও পাথর হয়ে গেল সেই কবিতার পঙক্তি পড়ে!
কি ছিল সেই কবিতার প্রথম পঙক্তিতে?
জীবনের কথা?
মৃত্যুর কথা?
নাকি অভাব অনটন অভিমান আর অভিযোগের কথা?
হয়তো একান্ত আপন কোনো নারী শরীর বিছিয়ে রেখেছিল সেই কবিতার প্রথম পঙক্তিতে,
তা নাহলে কবি কেন সেই কবিতার দ্বিতীয় পঙক্তি না লিখে পাথরের মতো পড়ে থাকল চলন্ত ট্রামের সেই রাস্তায়।
সেই একটা কবিতার প্রথম পঙক্তিটি ১৪ই অক্টোবর, ১৯৫৪ তারিখে কলকাতার বালিগঞ্জে জন্ম নিল।
তখন আরো কত কবি বেঁচে ছিলেন সেই সময়,
তবুও সেই কবিতার দ্বিতীয় পঙক্তি আজো লিখতে পারেনি কোনো কবি!
প্রায় সত্তর বছর হয়ে যাচ্ছে
তারপর কত কবি যে জন্ম নিল পৃথিবীতে-
কেউই দ্বিতীয় পঙক্তিটি আজও লিখতে পারেনি!
এইসব কবির কবি জীবনই একেবারে বৃথা।
প্রিয় জীবনানন্দ দাশ,
আমার কবিজীবনও বৃথা হবে
যদি আমি আপনার লেখা ট্রাম লাইনে শুয়ে থাকা সেই কবিতার প্রথম পঙক্তিটির পর
অন্তত দ্বিতীয় পঙক্তিটি লিখতে না পারি।
——————-
র শি দ হা রু ন
২১/০২/২০২৩