কয়দিন ধইরা ভাবছি,
তোমারে ধন্যবাদ দিয়া ফেইসবুকে একটা স্ট্যেটাস দিবো।
এই যে পরিচিত মানুষজন আজকাল
আমারে ‘কবি’ বইল্লা ডাকে
শুনতে ভালোই লাগে।
তোমারে যদি পাইতাম
বেশি হইলে আমি ভদ্রলোক হইতে পারতাম,
এখন কবি হইছি তোমারে না পাওয়ায়।
যেদিন তোমারে খুব বেশি দেখতে ইচ্ছা জাগে,
সেদিন বুকের মধ্যে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মতো কষ্ট ধরি।
সেই কষ্ট আমি সাদা কাগজে আদর কইরা শোয়াইয়া রাখি।
শোয়া কষ্টগুলোরে মানুষে কবিতা বলে ।
প্রায়ই রাইত বিরাইতে অঘুমে থাইক্যা
ছাদে বইস্যা আকাশের দিকে তাকাইয়া
একটার পর একটা সিগারেট পোড়াই
আর মাঝে মইধ্যে তোমাগো পুরোনো ভাড়া বাড়ির জানালার দিকে চোখ পাইতা রাখি।
আমি জানি এই বাড়িতে এখন তুমি থাকনা,
তবুও তাকাই,
তাকাইয়াই থাকি
তাকাইয়াই থাকি
একসময় চোখের মইধ্যে পানি চইল্লা আসে।
সেই পানি বুক বাইয়া যখন ছাদে পরে
সেই বুকে কবিতা শুরু হয়
কান্নার কবিতা
হাহাকারের কবিতা,
একটা মানুষ না পাওয়ার কবিতা।
তোমারে যদি পাইতাম
ঘর সংসার কইরাই জীবন যাইতো।
আটকা পরতাম তোমার শাড়ির আঁচলে
আটকা পরতাম তোমার চোখে, ঠোঁটে,
বুকে ,
কালো তিল পরা চিকন কোমরে
আর ঘুংগুর পরা শ্যামলা পায়ে।
তোমার না পাওয়ায় কেউই আমারে আটকাইতে পারে নাই,
যখন তখন উড়াল দিতে পারি
মন যে দিকে চায় ।
তোমারে না পাওয়া
আমার একজীবনে পাওয়ার চেয়েও বেশি কিছু
এইতো কিছু কবিতা বের হয়
খরা ফাঁটা ভাঙা বুক থেইকা
মানুষ আজকাল পিছনে থেকে ডেকে বলে
’কবি
এ যে কবি শুনছেন’।
তোমারে ধন্যবাদ,
আমারে ভদ্রলোক না বানাইয়া
কবি বানাইছো।
————-
রশিদ হারুন
১৯/০১/২০২৫
ক্যালগেরি, কানাডা