হারুন,
চশমার ফাঁক দিয়ে আকাশে তাকিয়ে একমনে কী ভাবছিস?
রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের গায়ে এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা হেলান দিয়ে কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে
তোকে না দেখলে বিশ্বাসই হতো না!

বিদূৎ তারে বসা কাকটিও অনেকক্ষণ ধরে তোকে দেখছে,
একটা লাল কুকুরও তোর পাশে নিরবে বসে আকাশ দেখছে!
কত রিকশা আর গাড়ি এই সময় তোর শরীরে প্রায় উঠে যেতে বসেছিলো,
টেরও পেলিনা!
আর সেইসব রিকশা আর গাড়ির ড্রাইভারদের অকথ্য গালিও শুনতে পেলি না!
কি হলো তোর?

হারুন,
চশমার ফাঁক দিয়ে এবার মাটিতে তাকিয়ে দেখ,
সবাই স্বর্গের সিঁড়ির পেছনে দৌড়াচ্ছে।
তুই বেঁচে থাকলেই কী আর মরে গেলেই কী,
কারো কিচ্ছু যায় আসে না।
সাধারণ মানুষ নিজের পেট আর মাথা ব্যাথার কথাই বলে যাচ্ছে,
দু' একজন অসাধারণ মানুষ অবশ্য ঘামাচির কথাও বলে।
আর তুই কিনা রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের গায়ে হেলান দিয়ে কবির মতো ভান করে আকাশে তাকিয়ে আকাশকুসুম ভাবছিস,
‘ভালোবাসার স্কয়ার ফিট আজকাল কী দরে বিকাচ্ছে?’

আরে পাগল সাথে বলতে হবে কী ধরনের ভালোবাসা চাস,
নিম্মবিত্ত,মধ্যবিত্ত নাকি উচ্চবিত্ত?
তারচেয়ে বরং তুই ঘামাচির কথা ভাব,
অন্তত অসাধারণ মানুষ হয়ে উঠবি।

হারুন,
এবার একটা স্বর্গের সিঁড়ির খোঁজ কর,
বাড়িতে গিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখ।
এত বয়স হয়েছে তোর,
তবুও ভালোবাসার স্কয়ার ফিটের দাম অন্যের কাছে জানতে চাস!
তুই কি জানিস, ভালোবাসা একটা শিল্প?
জেনে রাখ,
এতো কম শিল্প জ্ঞান নিয়ে তুই এক জীবনে কখনোই কবি হতে পারবি না।
তারচেয়ে সবার মতো কৌশল করে বেঁচে থাক আর কিছুদিন,
আজকাল বেঁচে থাকাই বড় শিল্প
বেঁচে থাকলে একদিন না একদিন কবি হয়েও যেতে পারিস।
———————
র শি দ   হা রু ন
০৮/০৯/২০২৩