হ্যালো ঢাকা,
কেমন আছো?
আমি ভালো নেই তোমাকে ছাড়া,
তোমার শহরের সব কিছু বদলে গেছে
আমার বুকের ভিতর হঠাৎ করেই এই মন্ট্রিয়াল শহরে!
হ্যালো ঢাকা,
পিছন থেকে আচমকা আমার নাম ধরে চিৎকার করে ডাক দেবার মানুষজন মন্ট্রিয়াল শহরে একজনও নেই।
তোমার শহরে শৈশবকাল থেকে প্রচন্ড বৃষ্টিতে আমার মাথায় গেঁথে থাকা
বিদুৎতের তারে বসে ভিজতে থাকা
একটা কাক
আর কাকটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রাস্তায় বসে ভিজতে থাকা
একটা কুকুরের স্থির ছবি,
দু’দিনেই মাথা থেকে স্রেফ বাতাসে মিলিয়ে গেছে!
তোমার শহরে বাড়ির দরজায় আমার অপেক্ষায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা কামিনী ফুল গাছটার কষ্টের কথা কাউকে বলতেও পারছিনা এই মন্ট্রিয়াল শহরে।
হ্যালো ঢাকা,
হ্যালো, হ্যালো ,
শুনছো আমার কথা,
তোমার শহরের মতো
দিনভর ফোনে কোন না কোন বন্ধুর অযথাই প্যাঁচালের মধুর যন্ত্রণা এই মন্ট্রিয়াল শহরে একটুও নেই,
ধোঁয়া ওড়া চায়ের গন্ধের সাথে বাতাসে ভেসে বেড়ানো সিগারেটের নিকোটিনের গন্ধ নিতে এখানে কেউ আমাকে একবারের জন্যও ডাকেনা।
এই মন্ট্রিয়ালে আমার ঘরের দেওয়ালে মা বাবার ছবি ঝুলানো নেই
আছে মলিন হয়ে যাওয়া সাদা রঙের পুরোনো দেয়ালের চাহনি।
মন্ট্রিয়াল শহরে দু’দিনেই আরো কতোকিছু যে বদলে গেছে আমার বুকের ভিতর !
আমার বাকীজীবনও চলে যাবে
এই বদলে যাবার হিসাব নিকাশে।
হ্যালো ঢাকা,
হ্যালো, হ্যালো,
শুধু তোমার শহরের সেই একই আকাশ,
একই চাঁদ
আর মাটিতে আমার একই ছায়া
মন্ট্রিয়াল শহরেও এখন আমার পাশে হেঁটে বেড়ায়
পুরোনো বন্ধুর মতোই।
——————————
র শি দ হা রু ন
০৭/০৮/২০২৩
মন্ট্রিয়াল, কানাডা।