পারিবারিক কবরস্থানটা আগের জায়গাতেই আছে
আর আমরা এখনও একই বাড়িতেই থাকি;
দাদাদাদি মারা যাবার পর প্রায়ই বাবার সাথে
হেঁটে হেঁটে যখন কবর জিয়ারতে যেতাম
তখন অনেক অনেক দূরে মনে হতো কবরস্থানটা।
অনেক সময় হাঁটতেও আলসেমি লাগত।

বাবা মারা যাবার পর
কবরস্থানের দূরত্ব যেনো অপ্রত্যাশিত ভাবে অনেকটা কমে গেলো,
এখন আগের চেয়ে অনেক কম সময় লাগছে!

মা মারা যাবার পর মায়ের কথা ভাবতে ভাবতেই
ঘর থেকে বের হলেই কবরস্থানে পৌছে যাই দ্রুত।
কবরস্থানটা যেন বন্ধুর মতো ধীরে ধীরে বাড়ির একেবারে কাছে চলে এসেছে!

ইদানিং পারিবারিক কবরস্থানে যাবার সময় যদি কখনো আয়নায় তাকাই
নিজের চেহারার পিছনেই কবরস্থানের গরম নিঃশ্বাস টের পাই আপনজনের মতো,
অথচ গজ-ফিতা দিয়ে মাপলে বাড়ি আর পারিবারিক কবরস্থানের দূরত্ব ঠিক আগের মতই হবে-
এক সুতোও এদিকওদিক হবে না,
তবুও দিন দিন কীভাবে যেন আমার বাড়ি আর পারিবারিক কবরস্থান এক হয়ে যাচ্ছে!
————————
র শি দ  হা রু ন
১১/০৫/২০২৩