অপরিচিতার মতো পাশ কাটিয়ে যাচ্ছো তুমি চলে
দেহের সুবাসে ঠিক বঝেছি আমি, সেই সে তুমি
এখনো কত ভালোবাসি কেবল জানেন অন্তরযামী।
ভোলা কী যায় সেই সব দিন
দারুন দহন বৃষ্টি বিহীন
দমকা হাওয়ায় জলের ছিটা
চক্ষু দুটি অর্ধ ফোঁটা
থমকে সময় কিশোর আদর শেষ বিকেলে ।
একলা কেন বিদেশ বুঝি তোমার বর
পরিপাটী আরেক সংসার, শূন্য সাজানো ঘর
রূপের প্রদীপ আগের মতই জ্বালো
মনের ভিতর আঁধার নিকষ কালো
হাসছে দেখো অলক্ষ্যেতে সেই যে বনমালী
মরিচীকার ভ্রান্তি গড়ে কেবল উষ্ণ-বালি
প্রেমের ঠাকুর সদাই গড়েন ধাত্রী
আমরা অধম নিত্য কালের যাত্রী
অলীক সুখে মত্ত ক্ষণিক এ সংসারে
খোলাম কুচি যত্নে সাজাই থরে থরে।
আজকে তবে বৃত্ত হলো সম্পুর্ন
সকল চাওয়ার দিব্য হল মাটি
শূন্যতাকে পূর্ণ করার ছলে
পায়ে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটি।