একা ছিলাম ভালো
কাটছিল দিনগুলো বেশ হওয়া খেয়ে।
এখন পা বাড়াতেই দুধে-দাঁতের হাসি
সচকিত কণ্ঠস্বর, বসন-ভূষণের রিনিঝিনি
পিছুটানে। কে জানে সবটাই হয়তো মায়া,
আর কল্পনায় ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদ মুখ ঢেকেছে
মেঘের আড়ালে ।
একা থাকা বেশ ভালো
ছিন্ন মূল জলজ উদ্ভিদ, নিরলস স্রোতে ভেসে যাওয়া
বন্ধনহীন মুক্তির উল্লাসে ।
একথা শুনে হাসে যে, এসেছিলো একদিন
কনে-দেখা রোদ্দুর গায়ে মেখে।
চৈত্র-তপন এখন, দারুন দহনে ওষ্ঠাগত প্রাণ।
তবু নিশীথ আঁধারে কুহু-কুজনে নিম্ন মধ্যবৃত্ত
সুখ খুজে নেওয়া।
দুহাত ভর্তি বাজারের ব্যাগ, বেবী ফুড, দেশী ঘি
কাটা-পোনা, তেল-ঝাল-অম্বলে মাখামাখি
সর্বদা নিম্ন মুখ। বুক ভরে শ্বাস আর মন ভরে
আকাশ দেখার সময় গেছে চুরি ।
হয়তো এরই নাম বাঁচা। জীবনের হারাকিরি।
হয়তো এরই নাম জীবন। বেঁচে থাকার কারিগরী ।