আমি আসিয়াছি তব গৃহের দ্বারে
খেলিয়া ফিরা শিশুটির মত ক্লান্ত উৎফুল্ল দেহে ;
নিঃসংশয়ে জানি, তুমি এইবারে
সকলি আমার ক্লেদ মুছিয়া দিবে জননীর স্নেহে ।
ক্রোড়েতে শুধাবে কোমল স্বরে
জীবন-দিবসে খেলিয়া আসা খেলার বর্ণনাগুলি ।
মৃদু হাসিটি নাচায়ে মধুর অধরে--
তিরস্কার করিবে না জানি অকারণ ভ্রুকূটি তুলি’ ;
মায়া মমতামাখা নলিনলোচনে
মার্জনা করিয়া দিবে ঠিক, করিয়াছি ত্রুটি যত ।
সুখমহিমার সেই প্রগাঢ় বন্ধনে
দীর্ঘআকাঙ্খিত নব নব অমৃতস্বাদ লভিব কত ।
মাতাসম তুমিও নহ উদাসীন--
দিয়াছো ভরিয়া নানা আবদার-লাঞ্ছনা সহিয়া ;
ফিরায়ে দিব আজি সকলি ঋণ--
লাগে বড় ভারী সে, এতদিন কাঁধেতে বহিয়া ।
বিগলিত করুণার শান্তির জলে
পরিতৃপ্ত হব গ্লানিমুক্তির অবগাহনে নাহিয়া ।
চিরশান্তিভরা ওই বক্ষের তলে
আনিয়া দিবে চিরমধুনিদ্রা ঘুমপাড়ানী গাহিয়া ।
জাগাবে মোরে নবপ্রভাত এলে--
আপন খেয়ালে নব রূপে নব নামে সাজাবে ;
খেলিব ফিরে নব খেলাঘর পেলে,
তুমিও পুনর্বার আড়ালে বাঁশিটি তব বাজাবে ।