সকাল থেকেই শুনি বারণ--
মোটেই খেওনা চিনি চায়ে ;
জানি যদিও মানা-র কারণ--
তবুও বারণটি লাগে গায়ে ।
সবাই যখন আয়েশে সুখে
আহা,পায় চিনি-চায়ের স্বাদ--
আমি তা খাই ব্যাজার মুখে,
হায়,পুরায় না জিভের সাধ ।
গপগপিয়ে মিঠাই খেয়ে--
খেয়েছি রে রসগোল্লা কত !
এখন থাকি লোলুপ চেয়ে,
করে যাই করলারসের ব্রত ।
কখনও বা ভাগ্যে জোটে
নিংড়ে নিয়ে সবটুকু রস,
রসগোল্লা একটা মোটে--
বিস্বাদ সে, শুধুই খসখস ।
নিরামিষেই দারুণ খোলে
গরম ভাতে আলু মাখা ;
দুটি টুকরো মাংস ঝোলে--
ভাগ্যে এখন সব ফাঁকা !
কোন্ খাদ্যে সুগার নাই--
গিন্নি খোঁজেন তথ্য ঘেঁটে ;
নয়নতারার পাতা চিবাই,
খাই নিমের পাঁচন চেটে ।
পাকা কাঁঠালের গন্ধ ভারী--
দেখিরে চেয়ে দুর হতে ;
লোভের সকল হামলাদারি
সামলে রাখি কোনমতে ।
আমের আসল বাদ দিয়ে
হই আঁটিটি পেয়েই খুশি ;
খাচ্ছি অনেক ভেবে নিয়ে--
সেটাই ঘণ্টাখানেক চুষি ।
এইভাবেতেই সুস্থ আছি,
মিষ্টি নাহয় লাগুক তেতো ;
তেতো খেয়েই সুখে নাচি--
প্রাণেতেই মিষ্টি আছে তো !
দুঃখ সদাই রাখবো বুকে--
আমি মোটেও তেমন নই ;
দ্যাখোনা আছি হাস্যমুখে,
কভু কি গোমড়া হয়ে রই ?