ও মা অসুরনাশিনী--
শেষ কবে তুই নাশ করেছিস অসুর--
মনে কি পড়ে মা গো ?
এখন লক্ষ অসুর দাপিয়ে বেড়ায়--
নাশ করতে জাগো ।
কেন মা শুধু পূজো পেতে আসিস বারম্বার--
এবার নাহয় ত্রিশূল গেঁথে, আবার অসুর কিছু মার ।
কেউ মেরে দেয় মায়ের গর্ভে, দেখায় না আলো--
বেরোয় মাংস একটি খণ্ড ;
কেউ বা মারে আঁতুড়ঘরে যোনির চিহ্ন দেখে,
কেবল কন্যে হওয়ার দণ্ড !
বলতে কি তুই পারিস মা গো--কেন এ অন্ধ বিকার ?
তাই বলি মা, ত্রিশূল গেঁথে আবার অসুর কিছু মার ।
রাস্তা ঘাটে সবাই দেখি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়
লোলুপে, শরীর জরিপ করে ।
সুযোগ পেলেই কনুই দিয়ে অঙ্গে গুঁতো মারে
সবাই, ইতর এবং ভদ্দরে ।
বাইরে ওরা দেখতে মানুষ, ভিতরে ভীষণ কদাকার ।
তাই বলি মা, ত্রিশূল গেঁথে আবার অসুর কিছু মার ।
আমরা কি মা ফেলনা সবাই, নাই কোনও দাম ?
চাইলেই সব জোর ফলায় !
তছনছ হয় কোমল দেহ, ভবিষ্যত আর স্বপ্ন ;
কখন বা প্রাণও চলে যায় ।
চব্বিশ অথবা চার, সব বয়সেই বই চরম অন্ধকার ।
তাই বলি মা, ত্রিশূল গেঁথে আবার অসুর কিছু মার ।
সেই কবে মা পাশায় হেরে, বানালো মোরে পণ্য--
রাজসভাতে লুটালো সম্মান ।
স্বামীর লঙ্কাজয়ের পরেও তো মা জুটলো কলঙ্ক,
অকালমরণ করেছি সন্ধান ।
আর কত মা কাঁদবো বল, কত আর করবো হাহাকার ?
তাই বলি মা, ত্রিশূল গেঁথে আবার অসুর কিছু মার ।