হিটলার মুসলিনী জার্মান আর নাতসি-বাহিনী
কামান আর বারুদের ধ্বংস-যজ্ঞ্য ক্ষতচিহ্ন নিয়ে
জার্মানের ফ্রাঙ্কফুর্ট শহর
পাশে তার বহমান স্নিগ্ধ নদী রাইন
বুকে তার কল কল স্রোতে কান পেতে হয়তো শোনা যাবে
ত্রস্তে ছোটা নাতসি সৈনিকের ভয়ঙ্কর বুটের আওয়াজ
পপি ফুলের রক্তলাল দৃশ্যে ঘেরা কোনো এক প্রান্তরে
ছুটে আসা সেলের ঘায়ে আহত সৈনিকের অথবা
কোনো আঙ্গুর-চাষির আর্ত গোঙ্গানীর প্রাচীন শব্দ
মগজে সবার জার্মান হিটলার বিশ্বযুদ্ধ—
বন্ধু সাংবাদিক ইসহাক কাজল আর শওকত আলী সঙ্গি সেদিন
জার্মান-বন্ধু এমরান ড্রাইভিং-এ ছিলেন তারই গাড়িতে তখন
ফাঁকে ফাঁকে বলছিলেন বিবরণ সংঙ্খিপ্ত কিছু-
দু’পাশে আঙ্গুর চাষ সারি সারি ক্ষেত
এক তীরে মার্কীন সেনা ঘাটি এখনও স্বাক্ষী যুদ্ধের!
চারপাশে পর্বত যেনো আগলে রাখে ফ্রাঙ্কফুর্ট
রাইন নদী বয়ে যায় রোডেসহাইম ঘেঁসে
আমাকে দিয়েছে সুখ সেদিন রাইনগাঁও
সুন্দরী সুশ্রী তন্নি তরুনীর হাতে বানানো
ছোট্ট কাঁচার পানপাত্রে আঙ্গুরের তাজা রস
জান্নাত যেনো হুর আর পরিদের দেশ!
জার্মানের ফ্রাঙ্কফুর্ট ছাড়িয়ে রোডেসহাইমের
ছোট্ট ছবির মতো গ্রামের পর্বত পাদদেশে
রাইন নদীর দু’তীরে ছিমছাম বাড়িগুলো
নদীবক্ষে ছোটবড় স্টিমার স্পিডবোট
পাহাড়ের চূড়োয় তর তর করে বেয়ে চলা ক্যাবল-কার
আকাশছোয়া ভাস্কর্য্য কোনো যোদ্ধার
সতেজ কফির ঘ্রাণে মনোরম ক্যাফের গুঞ্জন
প্রাণখোলা হাসিতে উজ্জ্বল পর্য্যটক পুরুষ-রমনী
সব মিলিয়ে পিকাসোর পটে আঁকা
যেনো এক নৈস্বর্গিক সুখের জলছবিঃ
রাইন-তীরে রোডেসহাইম!
আমি কিছুকাল রাইন-তীরে মুগ্ধ ছিলাম সেদিন
ফ্রাঙ্কফুর্ট রোডেসহাইম রাইনগাঁওয়ের সৌন্দর্য শিওরে
আর অনুভব করেছিলাম হলোকাস্ট জেনোসাইড
নগর-নাশী নাপাম বোমা, কামানের সর্বনাশী গর্জন
হিটলার মুসলিনী নাতসী-বাহিনীর পৈশাচিক প্যারেডের হুঙ্কার!
পাহাড়ের উপর থেকে মুগ্ধ চোখে যে ছবি
মনের ল্যান্সে হয়েছিলো ক্যাপচার
সেখানে অবশ্যি ছিলোনা হিটলার-কালার
ছিলো জলরঙে আঁকা প্রশান্ত প্রকৃতি
ছোপ ছোপ সবুজের ছাপ
নীলাকাশে গাঙচিল
রাইন নদীর শান্ত জলে জার্মানবাসীর স্বস্তি বাস!
(লন্ডন ২৫ নভেম্বর ২০১৪)