( গ্রামবাংলার দুখী নারীদের জন্য)
অনেক কষ্ট নিয়ে প্রহর গুণে গুণে বুঝি এখন আর
তুমি কষ্টকে ভয় পাওনা
বাংলার দুস্থ মানুষের ঘরে ঘরে এ কষ্ট
বাল্যবিবাহ, স্বামীর অত্যাচার, অকালে সন্তান প্রাপ্তি
অবশেষে অকাল-বিচ্ছেদ
পুনরায় সুখের প্রত্যাশায় প্রেম ভালোবাসা
হারানোর ভয়ে মিথ্যের আশ্রয়
গভীর প্রেম যখন প্রত্যয়ী হয়ে ওঠে
সত্য প্রকাশে তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়
প্রেমিক চাইলেও অভিভাবক চায়না
অন্যের সন্তানসহ বৌ তুলতে ঘরে-
খুব নতুন কিছু নয় গ্রামবাংলায় এসব কখনো!
নারী তুমি এই সমাজের সংস্কারের বলী।
নামের আগে পিছে মোসাম্মৎ, ইসলাম কিংবা জান্নাত
জুড়ে দিয়ে জন্মের সময় কতো বিশ্বাসে তোমার মা-বাবা
স্রষ্টার কল্যণ-প্রাপ্তির ছিলো প্রত্যয়ী প্রত্যাশায়!
অথচ স্রষ্টার দেয়া দারিদ্রের কষাঘাতে
মাঝ পথে থেমে যায় তোমার শিক্ষার্জন
বাল্যেই তুলে দেন কোনো কসাই-চামারের হাতে!
অত:পর যৌতুক-নির্যাতন, তালাক ইত্যাদি--!
আবহমান বাংলার এই দু:সহ সত্য-চিত্র
চিত্রায়িত হয় শরৎ-রবীন্দ্র-নজরুল-জসীম
কামরুল-হাশেম খান প্রমুখের চিত্রকল্পে!
বিখ্যাত হন তারা তোমাদের নিয়ে
অথচ পাঠক সমাজ কিংবা সাধারণ মানুষ কিংবা ‘জনগণ’
অবচেতন দেখে যায় লালনে চর্চায় থেকে যায় সবই অবিকল!
অপরাধ নিওনা তোমরা আমার, তাইতো আমি বলি-
ভাঙ্গো এ সমাজ , এসো গড়ি নতুন সমাজ!
(কাজিপাড়া, মিরপুর, ঢাকা (১৫/০৩/১৩)