প্রানের বিনিময়ে কয়েকজন
বাংলা মায়ের আদরের সন্তান
রক্ষা করেছে মাতৃভাষার মান
আমি নতশীরে তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই।
পাকিস্তানী শাসকের উর্দু ভাষার বিরুদ্ধে
বরকত জব্বার রফিক সালামদের
বিদ্রোহ ও আত্মত্যাগের সুত্র ধরে
স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
শেষে রক্তরঞ্জিত শাপলা শালুক হাতে
ব্যথার অশ্রু আমাদের একচোখে
অন্য চোখে শান্তির বারি নিয়ে
স্বাধীন জননী বাংলাদেশ আবির্ভূত হয় ।
এরপরে ভাষা আন্দোলনের প্রতি সন্মান জানিয়ে
মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা দিয়ে
বিশ্বসভা একুশে ফেব্রুয়ারীকে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলা ভাষার সাথে সাথে
সন্মানিত করা হয় পৃথিবীর সমগ্র মাতৃভাষাকে
জাতি ধর্ম বর্ণ শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই জানে
মাতৃভাষার কোন বিকল্প নেই এ ভুবনে।
মহাকালের রক্তচক্ষু এবং বিনষ্টিকে
উপেক্ষা করে তাই, পৃথিবীর সর্বত্রই
২১ শে ফেব্রুয়ারী দিনটি এক অতুল মহিমায়
মানুষের ইতিহাসে রবে মহাউজ্জ্বলতায়।
শ্রদ্ধা জানাই তাই ওগো বীর জোয়ান
জীবনের বিনিময়ে তোমরা কয়েকজন
বাংলা মায়ের আদরের সন্তান
বাড়িয়ে দিয়েছো সকল মাতৃভাষার মান।
.