জীবনের অপূর্ণতাগুলো নিয়ে
এখন খুবই আফসোস হয়,
মানুষের জীবন কেন এতো ছোট হয়
এ প্রশ্নের উত্তর জানা নাই
কিন্তু এখন আর সময়ও নাই
সময় থাকতে বুঝি নাই
বুঝি নাই এজীবন এতো ছোট।
এই জীবনে অনেক কাজই শেষ হলো না
যা করা উচিত ছিল
অবহেলা অজ্ঞতা ও বোকামীর কারণে
তা করা হলো না।
মৃত্যুর চেয়ে কঠিন সত্য আর কি আছে
আর নাই, মৃত্যুই সত্য
অথচ এ বাস্তবতাটা মেনে নিতে কষ্ট হয়।
লড়াই থামাই না, চালিয়ে যাই রেশ
বুঝতে চাইনা চলে গেলে সব শেষ
স্বর্গ নরক কেউ দেখে নাই
কেবলই তা মনের বিশ্বাস।
চোখের সামনে প্রিয়জনের মৃত্যু
মেনে নিতে কষ্ট হয়
মৃত্যুর পরে কিছুদিন মনে রাখে
এবং মনকে কাঁদায়
তারপর একদিন সবাই ভুলে যায়।
পিতামাতা জীবিত থাকতে প্রতি বছরই দাদাদাদীর কবর পরিষ্কার করতাম
শ্রদ্ধায় ফুল দিতাম, মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালাতাম।
এখন পিতামাতা জীবিত নাই
তাই পিতামাতার কবরে ফুল দেই
মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালাই।
কিন্তু দাদাদাদীর কবরের গুরুত্ব নাই
পূর্ব পুরুষদের কবরের দিকে খেয়াল নাই,
ফুল নাই, মোমবাতি নাই
সব অপরিচ্ছন্ন ও জঙ্গলে পরিপূর্ণ।
মৃত্যুর পরে কিছুদিন মনে রাখে সবাই
এবং মনকে কাঁদায়
তারপর একদিন সবাই ভুলে যায়।
এইতো মানুষের মন ও জীবন
মানুষের জীবন কি আশ্চর্য, তাইনা!
.