অনেক শূন্যতা ঘেঁটে
অবশেষে শান্তি পাব বলে
লুকিয়েছি ভিড়ের আড়ালে

শূন্য হাতে নয়
যত্নে ঝুলিতে ভরে কাল
কিছুটা শিশুর ধৃষ্টতা
কিছুটা আমার কঙ্কাল।

কিছুটা শিশির ধোয়া সন্তান
সন্তানের বড় কাছাকাছি
জেগেছিল রাত্রি এক
ঘোর অবিশ্বাসী।

কতটা বেদনা তার নেবে দিবানিশি
যে পরাজয় বালিশে মাথা রেখে
কাঁদে, জ্বলে, পোড়ে তবু দগ্ধ হয়না
অবিরাম দিনলিপি লেখে।

অহোরাত্র তাম্র পাত্র ভরে
যতই ঢেলেছি থালায় ঘন বিষ
ব্যঙ্গের সুরে দুয়ার বলেছে
আজ থাক, 'আজ'-কে চলে যেতে দিস।

এসব শূন্যতা গেলে রাতের কোঠরে

ভোর বেলা মাঠে নেমে যাই
যেখানে বনের দেখা শুরু
সেখানে গাছ পথ হাঁটি পায়
কিছুটা তোমাকে চেনাতে আমি ভীরু।

তোমারই চোখের নিচে চোখ
তোমার এই ভুরুর নিচে বালি
আমাকে কিছু শব্দ দাও আজ
সরবে শূন্যতা ঢেকে ফেলি।

লোকের ভিড়ে হারিয়ে গিয়ে লোক
গানের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে গান
শতক থেকে অর্ধ গেল চুরি
আর বাকিটা পূর্ণ জাগুক প্রাণ।

০২/১২/২০১৬
(পঞ্চাশ বর্ষ পূরণে)