আমার ঘরের দুটো জানলা, কেন জানিনা তারা ভিন্ন,
এক জানলা দিয়ে দেখা যায় সবুজ গ্রামের বহর,
অন্য জানলা দিয়ে বাইরে প্রতীয়মান প্রাণহীন শহর।
যখন আমি আমার বিছানায় শুয়ে
কলম আর ডায়েরি নিয়ে ভাবি এই দুনিয়া সবার,
কি বিচিত্র শোভা দেখি, লিখি প্রকৃতির বাহার।
এক পাশে সেই চিরাচরিত গ্রামের পটভূমি,
ছোট্ট ছোট্ট কুঁড়ে ঘর; বাঁকা খাল মেঠো আল ধরি,
হিজল বট অশ্বত্থের ছায়ায় ছোটরা খেলে ধরাধরি।
অন্য জানলায় দেখি ব্যস্ত বহুল কংক্রিটের শহর,
উঁচু উঁচু অট্টালিকা আর অলিগলি পথের সারি,
গাড়ি ঘোড়ার যানজট, সঙ্গে লোকজনের হুড়হুড়ি।
শহুরে মানুষ গ্রামের মানুষ, মানুষ তো সবাই,
তবে কেন তাদের মনের ভিতর এতো বিভেদ?
যদি এমন হত, আমার জানালা দুটো মিশে যেত।
কখনো কি শহর গ্রাম সত্যি মিশে যায়?
গেলে হয়তো গ্রামের মানুষ গুলো শিক্ষিত হত।
আর শহুরে মন গুলো দয়াময় মলিন হত।
একই শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে দুজনায় তো মানুষ ধর্মে,
কিন্তু কত বিভেদ তাদের মনে; তাদের কাজ কর্মে।
পৃথিবীর এক ঘরে দুটো জানলায় কি অদ্ভুত ব্যবধান,
গ্রামের মানুষ শহরে; শহুরে মানুষ গ্রামে গেলে হারায় তাদের সম্মান।।