.....
সদা গদ্যময় যান্ত্রিক পথের অববাহিকায় অতিক্রম করেছি কত নিরলস অধ্যায়।
প্রায় অবলুপ্ত আমার অনন্ত প্রতাশ্যার সোনাঝরা রোদ্দুরে হিম-স্নিগ্ধ পৃথিবীর লাবণ্যময় প্রাণের চঞ্চলতার অনুভূতি –
-পূর্ণিমার জোৎসনায় রুপালি আলোয় মায়াময় রূপকথার রাজকন্যার প্রেম-মোহ প্রণয় আখ্যান কথা-
-নীল আকাশের নিচে শান্ত স্নিগ্ধ নদীর সৌম্যতা, পাহাড়ের কোল বয়ে উদ্দাম প্রণয়ে নিস্তারিণী ঝর্ণার অভিসার।
--
আজ আমি স্তম্ভিত প্রাণের প্রণয়ের স্পন্দনে –
লজ্জাবতীর নগ্ন পাতাগুলো আমি স্পর্শ করে দেখেছিলাম কি অসম্ভব প্রণয় আবেশে
অসম্ভাবনীয় মৌনতায় নিজেকে নিজের আড়ষ্টতায় আবদ্ধ করছে ,পরক্ষণেই প্রকৃতির ডাকে নিজেকে মেলে ধরেছে অসীম প্রানচ্ছলতায়।
--
আমি কি এই চেয়েছিলাম ! - নগ্ন বাহু, বুকের ভাঁজে কামনার সুষমা, বৃষ্টি প্রলেপিত স্নিগ্ধ ঘাসের উপর সুদীর্ঘ নগ্ন তনয়. অপ্রত্যাশিত কোনো চুম্বন, আমার তপ্ত নিঃশ্বাসের স্পর্শে তোমার শরীরের চড়াই - উতরাই, আঁকা - বাঁকা প্রতিটি খাঁজে তোমাকে না পাওয়ার কান্না লুকাতে, সেই কান্নার প্রতিটি বিন্দু দিয়ে লেখা হতো আমাদের প্রেমের মর্ম গাঁথা , চেয়েছিলাম তোমার শরীরের মহুয়ার সুগন্ধে মাতাল হয়ে ভেসে যেতে নিস্তরঙ্গ নদীর মতো - হারিয়ে যেতে মোহনায়, চেয়েছিলাম তোমার সুগভীর নাভির মধ্যে হারিয়ে যেতে -খুঁজে পেতে অতলস্পর্শ আটলান্টিকের মহাসমুদ্রে শীতল রহস্যময় অন্তহীন স্রোতে নিজের অস্তিত্ব । প্রণয়ের পূর্ণতায় তোমার কাজল লেপটে যাওয়া চোখের কোল বেয়ে বয়ে যাবে পরম তৃপ্তির আনন্দাশ্রু, আমি যত্ন করে পদ্মপাতায় সাজিয়ে রাখবো আমার স্ফটিক অলংকার।
--
- নাহ! আমি পারিনি! - শরীর তো সবাই ছোঁয়, আমি চেয়েছিলাম মনটাকে ছুঁতে!
প্রস্ফুটিত গোলাপের মতো আমি চেয়েছিলাম তোমাকে অনন্তকাল ধরেই দেখে যাবো-
-তোমার সৌন্দর্যতায় হবো বিমোহিত, স্তব্ধ, মৌন, তুমি হবে আমার কবিতার পাতায় এক,একটি ছন্দ, গভীর অনুভবের প্রেমানুরাগে মিহিন সুতোর বুননে জন্ম নেবে আমার ভালোবাসার প্রেমবিতান --
--একটু নগ্নতার জন্য।।।।