অভিমানী মোর -

কত সহস্র  নিশি গিয়াছে পার অপেক্ষায় তোমার - এইবার হোক অবসান তোমারি অভিমান !
যত দূরেই থাকি মনে রাখিয়ো সাজাইয়া রাখিয়াছি এই পুষ্পহার -অধিক যতনে,
হৃদয়ের রক্তিম সম্ভাষণে তোমারি ভালোবাসার লাগি ।
অবচেতন চেতনায় স্বপ্নেরই  প্রান্তে  কিছুই দেখিতে না পাই- তোমা-বিনা দিনান্তে শুধুই বেদনা।
অশ্রুসিক্ত নয়নে করি হাত করজোড় , হে মোর প্রেয়সী- অভিমান করিয়া ভঞ্জন ,
লহো ডাকি চিরন্তনের মাঝে ।

হে মোর ভার্যা অভিমানী মোর -

হেমন্তের  আগমনে কোকিলের ডাকে  খুঁজিয়া  পাই তোমারেই প্রত্যুষের অলিন্দে।
প্রকৃতির শোভা মাঝে খুলিয়া কবরী উপনীত হইলে সাজে কি অপূর্ব রূপবতী ।
এই সাজে তোমারে কি মানায় - অভিমানী ? তাই তো কহিলাম  ছাড়ো মিছে রোগ ।
এ হেন বিষন্ন চিত্ত কভু দেখিতে না হয় - রহিল এই প্রার্থনা মোর !!

শরতের শ্বেত শুভ্র মেঘের মিনারে কখনো বা কাশবনে তোমার বিচরণ,
এনেছিলে সাথে করিয়া প্রাণের স্পন্দন তা মোর জীবনে হইলো অনুরাগের বন্ধন,
সেই তুমি, চলি গেলে মোরে ছাড়ি -অসীম দিগন্ত মাঝে - শুধুই খুঁজিয়া মরি !    
করিয়া দহন মোরে একাকী এই ধরণি তলে -তবু যেতে নাহি দিব এই আর্তি করেছিনু  হৃদয়ের অন্তঃস্থল হইতে।

হে মোর অর্ধাঙ্গিনী - অভিমানী মোর –