এলো রমজানেরই পবিত্র মাস,
সংযম সাধনায় করিতে হইবে খান্নাসের বিনাশ।
শুধু উপবাস-ই নয়, চাই আত্মশুদ্ধির সংযম সাধনা
তবেই কবুল হবে আমাদের আরাধনা।
তোর মুখে উপবাস, অন্তরে কামনার ক্ষুধা
এই ভন্ডামী কেউ না বুঝুক, বুঝে তো খোদা!
খোদা চাই না দ্বীনের খেদমত, টুপি-দাঁড়ি লম্বা ভূষণ,
মানুষে মানুষে চাইছেন তিনি সবার উত্তম জীবন।
জীবনের মূলে রয়েছে তোর ভোগবাদের জিন্দেগি
অথচ খোদাকে ‘পণ’ হিসেবে দিতে চাইছি নামমাত্র বন্দেগি!
খোদা চাহে না কোনো ‘পণ’ কি'বা মহাসুধের ঋণ,
সকল সৃষ্টি তাঁর সম্মিলিত রবে, অপেক্ষার সেইদিন।
দিনের বেলায় ভুখা তুমি থেকেছো উপবাস,
নিশাকালে তীব্র যন্ত্রণায় কামনার সঙ্গবাস!
লোক ঠকিয়ে যে অর্থে কিনেছো ইফতার,
ভেবেছো কি কতটুকু শুদ্ধ তোমার আহার?
মুখ ভরা কল্পকথা আর মিথ্যার ফুলঝুলি,
দু’চোখে শুধু বেহেশতের লোভ আর স্বার্থেরঠুলি।
পেটে-পিঠে-মগজে শুধু কোরান হাদিসের বয়ান,
অথচ অন্তলোকে হিংসায় জর্জরিত তোর প্রাণ!
চাই নিয়ন্ত্রণ, সংযম সংযত পরিশুদ্ধতা
সকল অশ্লীলতা অশালীন থেকে চির পবিত্রতা।
চাই বিনয়, সুশ্রী সুন্দর জীবনদর্শন
চাই সুনীতি, জ্ঞানের জ্যোতি ও আলোর প্রজ্জ্বলন।
চাই মিথ্যা থেকে পরিত্রাণ,
উদার হউক হৃদয়-প্রাণ।
চাই নির্মল কমল বিশুদ্ধ হৃদয়,
যেথা চেয়ে কাবা-মথুরা উত্তম নয়।
চাই মানুষের প্রয়োজনে মানুষের জীবন,
আত্ম বিনিময়ে সমৃদ্ধ সম্প্রীতির সঞ্চালন।
পৃথিবীতে হবে শুধু মানুষের ভজনা,
প্রেম ব্যতীত বিনিময়ে অন্য কিছু চাহি না।
চাই না হিংসা, বিদ্বেষ আর অহংকার,
ভেদাভেদ ভুলে সম্পর্ক হবে ভালোবাসার।
সত্য বল, সুপথে চল, যেপথ রয়েছে সোজা
তবেই তুই রোজাদার, স্বার্থক তোর রোজা।