পৃথিবীর সব আলো আমার চোখে এসে ঝলসে দিয়ে গেছে আমার হৃদয়।
আমি নির্মোহ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে ক্লান্ত হইনি কখনো।
আমায় দেখে ক্লান্ত পুরো পৃথিবী।
আমি শতাব্দীর সবচেয়ে আজব হকার।
আমি হতাশা হাতে নিয়ে বাসে বাসে ঘুরি।
বাসে গিয়ে আমার জীবিকার প্রচারণা আরম্ভ হয়।
"আমার কাছে আপনারা পাচ্ছেন হরেক রঙের হতাশা। পারিবারিক হতাশা, জীবিকার হতাশা,প্রেমিকের হতাশা, হতাশা না থাকার হতাশা আরো কত কী!"
সারাদিন ঘুরেও যার বিক্রির অংক সর্বদা শূন্য।
তাই আমি হকারের জীবন বিসর্জন দিয়ে মানুষের মনের আবর্জনার গাড়ির ড্রাইভার হয়ে গেলাম।
এ জীবিকা আমার মস্তিষ্কের মৃত্যুর কারণ হতে চাইলো আমি ভয়ে মৃত্যুকে খুঁজতে শুরু করলাম। পেলাম না।
মৃত্যু তার সময়ের বাইরে কোথাও বের হয় না।
এমন অবস্থায় হৃদয় ভেঙে যেতে চাইলো।
কিন্তু ঝলসে যাওয়া হৃদয় ভাঙতে পারলো না নিজেকে।
আহ্! কী অস্বস্তি! কর্পূরের ঘ্রাণ পাচ্ছি আমি।
গোলাপ জলে আমার চোখ লুকিয়ে রেখেছে তার জল।
এ জল আমায় এবার কাফনের কাপড় বিক্রেতা হতে বলছে।
এ পেশা হয়তো আমার নেশা হয়ে যাবে এমনটা ভেবে কর্পূর নাকে গুজে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম ভেঙে দেখি আমার ঘুম ভাঙছে না।
আমি ভয় পেলাম না।
মৃত্যু ভেবে আনন্দিত হলাম।
কিন্তু মৃত্যু কী সহজ কোনো যান যাতে চাইলেই উঠে পড়া যায়!
ঘোর ভেঙে দেখি আমি এক হতাশা মাখা কষাই ঘরে।
যেথায় কষাই ঘেমে গেছে ছোট ছোট আনন্দ কেটে বৃহৎ কর্পোরেট আনন্দ বানাতে।
আমি কষাইকে জিজ্ঞেস করলাম না কেন আমি এখানে।
শুধু বললাম আমাকে কাটার সময় আছে তোমার?
সে বললো সুখী মানুষদের কাটতে হয় না তারা আপন সুখেই কেটে ফেলে নিজেদের।
আমি নিজেকে সুখী ভেবে হারিয়ে গেলাম সূর্যের আঁধারে।
আমি আর ফিরিনি জীবন মৃত্যুর মাজারে।
১৬.০৫.২০২২
রাত ১০.১৩