বাহিরে বৃষ্টি টিনের চালে যন্ত্রসংগীতের করুন সুর
থরথর করে কেঁপে ওঠে বৃক্ষপাতা
গাভীর বিরোহী চোখ এখন প্রান্তরের ঘাস
উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা হাঁস
ঠুকরে ঠুকরে তুলে নেয় য্ন্ত্রণার পালক
শিমুলের ডালে ঝিমিয়ে থাকা দু'টি পাখি
এক নিমিষেই গিলে নেয় স্মৃতির ট্যাবলেট
শরতের আকাশ ছিল
আকাশে তখন কাঁশফুলের অবিরাম নৃত্য
পায়ে ক্লান্তিকে গুটিয়ে
উদ্দাম উড়ে বেড়ায় আকাশে
মৃত্তিকা তুমি ও কি এখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে
হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে থাকা
আহত স্মৃতির মাথায় হাত বুলিয়ে নিচ্ছো।
মৃত্তিকা আজ তুমি নেই
উদ্দানে ঝরে পড়ে ফুলের পাঁপড়ি
দুদার্ন্ত বসন্তে উলঙ্গ বৃক্ষশাখা
আকাশের সাথে অভিমান করেছি অনেকদিন
বাতাসকে আটকে রেখেছি প্রিজনসেলে
যন্ত্রণার সিরাপ গিলে শুয়ে আছি
বিকেল গড়িয়ে রাত হল
অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে আমার পৃথিবী
আমি যে আর পারছি না মৃত্তিকা
তুমি তো আমার অস্তিত্বে বয়ে যাওয়া সর্বনাশা পদ্মা
তোমার গর্জনে ভেঙে যাচ্ছে হৃদয়ের চারপাশ
ঈশ্বরের চোখ বেয়ে ঝরে পড়ে শ্রাবন
মৃত্তিকা ঈশ্বর ও যে ভালোবাসার কাছে এতটা অসহায়
তা আমার জানা ছিল না।