আশ্চর্য্য !সাগর মন্থনে ওঠে গরল ও সুধা ,
সাতাত্তর দিনে প্রবল গ্রীষ্মতাপে- দেখা
চলে ভাগ্যবিধাতা নিয়ে দেশে মন্থন- সেথা ;
নব্বইকোটি সুষ্ঠু ভোটার এ কাজে নেয় যতন ,
দাঁড়ায় দু’ই দিকে দু’ই মহা গটজোড়-বন্ধন ।
শাসক আওতায় সমস্ত মিডিয়া, দেখার
অপরদিকে বিরোধী দল প্রচারে লাচার ,
গণতন্ত্রের শিকড় মজবুত করতে তার
সহ্য করে অত্যাধিক অকানুনী অত্যাচার ;
অস্তাচলে যাবে গণতন্ত্র বিরোধী না হলে -
তারা পাহারাদার, ভূমিকা দানে কৌশলে ।
কায়িক পরিশ্রমে চলে যাদের সংসার
দিন-আনা দিন-খাওয়া কর্ম পর নির্ভর
কি বা বোঝে তারা গণভোটের খবর ?
মার্ক্সের উদ্ধৃত মূল্যের মহত্ব তার
অজানায়, বোঝে না শোষণ সার ।
আসে নি কো কোন গিরিধর অবতার
শ্রমিক পাশে ক্ষণিক দাঁড়াক একবার ।
অনন্যোপায় অবোঝা রাজনীতি, দৈন্যতা
তারা খুশী- পেলে দিনান্তে দু’মুঠো পান্তা ।
আশায় সাধারণতঃ ভোট দেয় প্রতিবার
বিদ্যায় কমি; টোপ গেলা অমহত্ত্বতার ।
হেঁকে প্রবুদ্ধ বুক চিতিয়ে উল্লাসে বলে,
এই দেশে আদর্শে , ভোট-পর্ব চলে ;
আমার দেশ গণতন্ত্রে অগাধ বিশ্বাসী
নির্ভয়ে জনতা মত দেয় খুশী-খুশী ।
এমনি চলে জনমানসের মতের মন্থন
ফলাফল বিষ আর বিষোৎপাত ঘন -
আগে, প্রগতির নির্বাচন ও মূল্যাঙ্কন !
(০৩-০৬-২০২৪)