"বন্ধু আমার পড়শী ভারত হাত বাড়িয়ে দিলো ,
হত্যাকারী-ধর্ষকেরা ভীত হয়ে গেলো ।
যুদ্ধ ছাইড়া 'মছুয়ারা' করলো 'সারেন্ডার'
এই খবরে কান্দে শুধু দেশী রাজাকার !
তারা, দেশের কুলাঙ্গার ।"
কবিরা সর্বদা উদার প্রাণা, মহান তাঁর ভাবনা, একক গণ্ডির মধ্যে কবিকে কেহ বেঁধে রাখতে পারে না । যাহা সত্য তাহাই নির্বিশেষে বিনা দ্বিধায় তাঁর আচরণে চিরদিন উপস্থাপন করে যাবেন, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ,মানব কল্যাণে ।
আজ মহানতার পরিচয়ে প্রিয়কবিকে অশেষ অশেষ শুভকামনা জানাই , ধন্যবাদ ।
> ১৯৭১-এ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ হন । পাকবাহিনী দ্বারা অমানুষিক বাংলা দেশে দমন চক্র চালায়, তখন কোটিতে হিন্দু-মুসলমান, পশ্চিমবঙ্গে শরণ নেয় । তৎকালীন ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দীরা গান্ধী ষাটটির অধিক দেশ, সাহাজ্যের জন্য ভ্রমন করেন । সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলা দেশ, ভারতই স্বীকৃতি দেয় । যখন অত্যাচার আর দেখা যায় না আর শরণার্থীর দুর্দশা দেখা যায় না, তখন ভারত আক্রমন করতে বাধ্য হয় । অপর দিক থেকে আমেরিকা তার জঙ্গী জাহাজী বেড়া পাঠায়, পাকিস্থানের সাহায্যে । আগেই কুটনৈতিক সুজবুজে রাশিয়াকে ইন্দীরা গান্ধী ভাল হাত করে রেখেছিলেন তাই রাশিয়া ও পিছে জাহাজী বেড়া পাঠায় । আমেরিকার বেড়া পিছে হটে যায় ।
১৬-ডিসেম্বর ১৯৭১ পাক বাহিনী ভারত বাহিনীর কাছে ৯০,০০০-হাজার সেনা সহ আত্মসমর্পণ করে । ইন্দীরা গান্ধীর বড়ো কূটনৈতিক বিজয় ।
এখন প্রশ্ন-
১)- যারা স্বধর্মের লোক, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-শিশু মারতে দ্বিধা করে না ! ধর্ষণের মত অতি জঘন্যতম ঘৃণিত কাজে যারা পারদর্শী ! তারা আগেও কী নরসংহার থামাতো ? দেশ কি ছেড়ে দিত ?
২)- পাকিস্তান আমেরিকার সাহায্যে চালিত ।
রাসিয়া তথা অপর দেশ ভারতের সাথে না থাকলে যুদ্ধ হত ভারত বনাম পাকিস্তান + আমেরিকা । ভারতের কি অবস্থা হত বাংলাদেশকে বাঁচাতে যেয়ে !!
৩)- যদি আমেরিকার জাহাজী বেড়া ফেরৎ না যেত তৃতীয় মহাযুদ্ধ হত ।
বিশ্বের রূপ, জনহানি কি রূপ হত !!!