সে দয়ালু মালিক নিত যতন
ভাবত, শিয়াল-ই তার আপন ,
রোগে ঔষধ, শিশুর তদারক
বৃদ্ধদের প্রতি লক্ষ্য- তাপশোক ;
যত্নে ছিল না তার কুন্ঠা ,
ছিল আন্তরিকতা-সেবা ভাবনা প্রথা ।

একদা এক দুষ্ট কসাই
মাংসের লোভ দিয়ে এককে ডাকে ,
বলে, “শুন-শুন শৃগাল মশাই
জীবনে বোকামী আর নয়
কষ্টে সময় যে বয়ে যায় ,
আমার দলে ভোটদিলে
কত না সুখে খাবে সকলে
পাবে স্বাধীনতায় জীবন জয় ,
আমি ধনাঢ্য, মাংসের কারবারি
ঘর- তাজা মাংসে ভরা- অশেষ
যত্তো পার খাও হবে না শেষ ,
তোমাদের নির্বুদ্ধিতা দেখে দেখে
ভীষণ কেন্দে ওঠে হৃদয় ।”

বেড়া ভেঙে সব শিয়াল যায় কসাই ঘরে ,
লোভে কি ঘটে তারপরে ?
কসাই শিয়াল মেরে মেরে, রক্ত মাংস হাড় -
এমন কি খাল-চামড়া বিক্রিও করে তার ।

(১০-০৭-২০২৪)