আহা! বলিহারি সে- আপনাপনা
স্বপ্নরা, রাতে দেয় জীবন্ত মন্ত্রণা ,
তারা কাড়ে সুখ ঘুম.......
সে কি বাজনার ধুম !
মধুর দরদী যেন তার হানা ।

তন্দ্রায় ভাসি পেয়ে বরদান -
আমি উড়ে চলি, দিশা অনজান -
পার করি তেপান্তরমাঠ, আশমান ।
স্বপ্নরা যেন দেবতুল্য- অবধূত ,
চেপে বালিশ, বসে করে জুৎ -
কাব্যিক মন মাতানো ধরম ,
কত না ছোটে আমার কলম ।
নদীপাড় ,ঝোঁপঝাড় প্রেত-ভূত !

তারপর বারোমাসী প্রেম-প্রেম
সব বয়সী-রূপ যেন স্বর্ণ-হেম ;
জীবন-যৌবন ,বন, নন্দনকানন –
লেখায় মেতে থাকে মম মন ।
আমি লিখি ,দাঁড়কাক চিল -
অজানা শূন্যেও মারি ঢিল ;
মায়ের উনুন, বাবার ত্যাগ ,
বন্ধ রাখি চোখ-কান-নাক ;
এসব নিয়ে হই না অবাক !

আমি হই খোঁড়া, দেখলে মিছিল ,
সেথা না সময় ব্যয়,--একতিল ;
শ্লোগানে চিন্তাটা- কাব্য-কাব্য -
কত দাবী মাথায় করে কিলবিল ।
হয়ে উঠি চুড়ন্ত এক সভ্য
লিখি কাব্য যেন জাগরুক ভব্য ,
কেবলি দ্বারে এঁটে খিল্ ।

(১১-০৯-২০২৪)