সরল পরাণ মানুষে চায় ত্রাণ
বোঝে না সে ঘুর প্যাঁচ ;
নীতির বিচার, গুরুর সমাচার
মুক্তি জন্য পায় আঁচ !
নেতা যেমত বলে ভোট দিয়ে চলে,  
মান্য করে তার বিচার ;
নাভাবা দশ-পাঁচ করে চলে কাজ
ভাগ্যটি ফেরে না তার ।

সুপথে গমন ধর্মে কৃচ্ছ্র সাধন -
সাধনা করেও দ্যাখে ;
কত তীর্থ ভ্রমণ, পুণ্যাত্মা দর্শন
সারে, মনে শ্রদ্ধা মেখে ।
তবু কষ্টের কাঁটা জীবনটা পাটা
ফলটা পায় না শুভ ;
কখনো রাতে তারা গুনে কাটে
দৃষ্টি আবদ্ধ নভঃ !

করে উদঘোষ, কপালের দোষ
মুষড়ে পড়ে ক্ষণিক ;
পরকে দেখে আরো সে শেখে
ভাবে হবে সে বণিক ।
যেন রংতামাশা ফুরায় জীবনাশা
পথের পায় না হদিস ;
বিতৃষ্ণায় মন ভাবটি সর্বক্ষণ
প্রভু দেয় না আশিস ।

ব্যবস্থার গ্রহণ সব করে হরণ
সে এক অদৃশ্য প্রতারক ;
পূজিতন্ত্র জালে, ফেঁসে একালে
আস্থারে করি তোষামোদ ।

(১০-১০-২০২৪)