কবি পরিচয় > কবি, “প্রসূন গোস্বামী” তিনমাস হ’ল সবে আসরে এসেছেন ।
ইংরাজীতে এম,এ -শিক্ষকতা , জন্মস্থান--ঢাকা-বাংলাদেশ ।
১০-০৩-২০২৪, থেকে আজ অব্দি ৯৮-টি কাব্য প্রকাশ করেছেন । তাঁর লেখার মুখ্য ধারা ,প্রকৃতি ,মানব সমস্যার মূল বিষয় , প্রেম -ভালোবাসা ।
তাঁর জীবন জিঞ্জাসার কাব্য, “ ,"জন্ম কেন এ অন্ধকারে" তাকে নিয়ে আলোচনা ।
“মহাকালের মঞ্চে” তার পরে কবির কালজয়ী আর এক কবিতা পেলাম,"জন্ম কেন এ অন্ধকারে" । যতো সংক্ষেপে পারি কাব্যের ভাবার্থ তুলে ধরতে চেষ্টা করছি ।
“এই জীবন কি শুধু ক্ষুধার জ্বালা?” কবি মনের অজস্র প্রশ্ন, জন্ম মানে কি শুধু ক্ষুধা -কষ্টের জ্বালা ?
জন্ম নেওয়াটা এক রহস্যে ঘেরা । চাওয়া পাওয়ার উর্ধ্বে, জন্মের পরে দেখা যায় ব্যাপক বৈষম্য, কেন এরকম হয় ? জন্মের পরেই ক্ষুধার জ্বালা, চারিদিকে ব্যাপ্ত,
শঙ্কায় ঘেরা ভয় আর ভয় !
"দূরের ধনীর বাড়িতে ছুটে যায় মোটা মুরগি" “আমার থালায় শুধু চোখের জল”
হত দারিদ্র্যের ভুখা পেটে দাঁতে ঠোঁট কামড়ে বুকের খাঁচা চেপে ধরে কান্না গুমরে ওঠে, শুধু ছটফটানি ! কত না ভাবুক করা কথা, ক্ষুধার তাড়না ভাব বাস্তবে ব্যক্ত ।
"দিন পেরোয় পোকা খেয়ে, রাত কাটে পাতার বিছানায়"
"স্বপ্নে ভাতের গন্ধ আসে" আরো বাড়ে ক্ষুধার জ্বালা ! তবে জন্মটা কি পাপ ,পুড়বে কি এই ক্ষুধিত ছায়ার কায়া ?
পথ শিশুর জীবন কাটে শহরের ফুটপাতে ,কি নির্মম পরিবেশ , কষ্টের কালোধোঁয়ায় চাঁদের আলো তারা দেখে না ! শুধু কানে আসে কুকুর ও কাকের ডাক । সত্যি বড় অমানবিক নাটক ।
একদা মা লালচে চোখে বলত , খেয়ে নে , এখন বলার কেউ নেই । "জীবন এক কঠিন রাস্তা, যেখানে শুধু চোখের জল," এই ক্ষুধার জীবন কঠিন পথ কি করে একাকি পার হবে কবির মনে প্রশ্ন ।
শেষের দুই ছত্রে কবি অনেকটা উপায় খুঁজে পান-এই দুঃখ কষ্টের পথের সমাধান দিতে ।
"হয়তো একদিন মরে যাব, এই পথেই শেষ হবে জীবন,
কিন্তু শোন, হে অবিচারের দুনিয়া"... "কেন জন্ম দিলে এই শিশুর, যদি না দাও খাবারের অধিকার ? / এ প্রশ্ন তোমার চোখে থাকুক, জ্বলুক শুধু ক্ষুধার আগুন,/ মনে রেখো, এ কান্না এক অভিশাপ, এক বিদ্রোহের সুর।"
আবারও হতাশায় ভরা কবি মন ,
"ক্ষুধার্থ কান্না ভেসে যায় নিঃশব্দের সাগরে,
এই কি বিধি, না নীরব প্রতিবাদ জ্বলন্ত আগুনে?"
উপসংহারে আমার বলা , কাব্যে, কোন বিষয়ের ভাব ছবিসম তুলে ধরা হয়, সেখানে কবি মনের নিজস্ব ভাব থাকবেই , সেই ভাবকে আলোচনা করলে এটি এক উত্তম কাব্য ,তার প্রতিটি ছত্রে একপথ শিশুর- অবহেলিতের জীবনের চিত্রণ, অপূর্ব শব্দালঙ্কারে, উপমায় কাব্যশৈলীতে ভরপুর ভাবের উপয়োগ করেছেন ।
এখানে মানুষের করণীয় কী ? লেখক তাঁর নিজ অনুভূতি না থাকলে এত কষ্টের কাব্য লেখা সম্ভব না , সুখী মানুষে দুঃখের ভাষা মনে স্পর্শ পায় না , কত কষ্টে যে কত মানুষ বেঁচে আছে ,তাদের কথা কলমে আসে না । যখন জানা গেল পথশিশু বা হতদরিদ্র তার অসহ্য ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে হয় তখন কষ্ট নিবারণের পথও এই মানুষের বের করা উচিত । কবি পারেন তার দশা ও দিশা বাৎলাতে ।
তার প্রতিকার কি ? তার কান্নাটাই কি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার যোগ্য ? না অন্য পথও আছে এর জন্য ।
সমৃদ্ধ শব্দজালে , সমাজ জাগানিয়া মানবতাবাদী কাব্য বাণীতে মন ছুঁয়ে গেল !
আরো লিখুন, শুভেচ্ছা, প্রিয়কবিকে । সর্বাংঙ্গিন মঙ্গল কামনা করি ।