-শাহ সাকিরুল ইসলাম । কবি পরিচয় , জন্মস্থান > ব্রাহ্মণ বাড়িয়া ,বাংলাদেশ । পেশা > শিক্ষকতা ।  শিক্ষাগত যোগ্যতা > এম এ /ডিপ-আই-এড/ এল,এলবি ঢা.বি. আই,টি, (কানাডা) । বর্তমান নিবাস  > মন্টিয়ল কানাডা ।
৪ বছর কাল আসরে আছেন , ৯৬২ টি কবিতা প্রকাশ করেছেন । তাঁর কবিতার মান, প্রকৃতি প্রেমী ,জীবনবোধ, মানবতাধর্মী ,দেশভক্তির ভাবনা, লিখে থাকেন ।
তাঁর কাব্য , "খোদার খাসিরা" গত গণ অভ্যুত্থানের পর- দেশের অবস্থা নিয়ে কবি মনের ভয়ংকর পীড়া তারই ব্যঙ্গ-রূপক ধর্মী- কাব্যভাব এখানে আলোচনার মাধ্যমে রাখা ।

"চলে গেছে মাসি ,এসেছে খোদার খাসি...
ধর্মের ষাঁড় চারিদিকে তারা বাঁজায় বাঁশি !"
মাসি এখন দেশে শাসনে নেই ! তার জায়গায় এসেছে এক খোদার পরম বান্দা, তাঁর সাথে উচ্ছৃঙ্খল ষাঁড় রূপী সাকরেদ আপন সুরে বাঁশরী বাজিয়ে চলেছে ; চারিদিকে তারই সুর শোনা ।
যে জন্য এত বড় গণান্দোলন হ’ল কিন্তু তার শুভফল কৈ দেখা ? মনে হয় কঞ্চি বাঁশের চেয়ে দড়- শক্ত ! মানে আগের তুলনায় আরো অশুভ পথে দেশ চলা । তার সাক্ষ্য-প্রমাণ এখন ! কবির প্রশ্ন- এটা নয় কী পরজয় –“আদিখ্যেতা” ? কতটা বা এর থেকে শিক্ষা পেলাম !
এত ত্যাগের পর শুভদিকটা দেখা না ! আরো যেন সমস্যায় জড়িত হয়ে, "ছকড়া নকড়া কান মলে" লোককে মূর্খতা পূর্ণ আজে-বাজে উপদেশ দিয়ে , দেশবাসীকে শান্ত রাখার প্রবৃত্তি ঢেলে চলেছে ,তার-ই মনভুলানো জয়গানে মুখরিত দেশ ।
দুর্ভাগ্য ! মাসির জায়গায় দেশে যিনি পদাসিন তিনি চাচী ! মানে-- এক বিদায় ,অপর এক সেই পুরাতন দিনের শাসক ।
কবির স্পষ্ট বলা- দেশ প্রগতির জন্য কর্মগুণ- যোগ্যতাই যদি না থাকবে ? তবে “বুদ্ধির ঢেঁকি রা” শাসন ছেড়ে দেওয়াই ভাল , এতে দেশ ও জনতা হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে ।
কবি ব্যাপক প্রশ্ন তুলেছেন, যারা ধর্মপ্রধান ধর্ম ধরে আয়ের সিংহভাগটা লাভ করবে “শুধুই খাবে ঘি” । "শুক্রবার" মানে সে পবিত্র দিনে আরাধনা করলেই কি অপশক্তি দেশ থেকে চলে যাবে ? জনতা তাদের মনের খবর দেশের খবর আর তারা আগে যেয়ে পাবে না ! কারণ, সংবাদ মাধ্যম সম্পূর্ণ বন্ধ করা হ’ল । দেশের সংবাদ আর বাইরে বা ভেতরে আসা যাওয়া হবে না !
চারিপাশের ধনী, তারা এখন এই শাসন ব্যবস্থাকে চালিত করতে "বিলাচ্ছে
বহু সুবাস" মানে ---মধুর মনভুলানো কথায় উস্কানী দিচ্ছে- বেজায় !
“মাছরাঙার কলঙ্কিনীর সুদূরে কী দীর্ঘশ্বাস” !
মাছরাঙা রূপে মনোহরা, আদতে মাছখায়, কিছুই সমাজকে দেয় না, তারা বহির্জগতে বসে কত না আফসোস বা দীর্ঘশ্বাস ফেলছে ! এ সুযোগের লাভ উঠানোর জন্য ।

উপসংহারে আমার বলা - সুন্দর ছন্দ কাব্য, নব নব শব্দ সহকারে, উপমায়, সুন্দর রূপক কাব্য , অনেক মার্জিত অথচ তীব্র কটাক্ষ শব্দ সংযোগে বলা । প্রতণ্ড এক আদর্শবান দেশভক্তের কথা । সুন্দর দেশকে এক জ্ঞানবান জাগ্রত ব্যক্তি তার পতন দেখতে চান না। কবি এখানে তারই রূপ বুঝাতে জোরালো শব্দ ,কাব্যে ব্যবহার করেছেন, যাহাতে জনতা এর গুরুত্ব টা  সবিশেষ বোঝেন । এমন একটা সময়ে কবি তাঁর কাব্য ভাষ্যে বক্তব্য ব্যক্ত করেছেন--তার বিরল উদাহরণ মেলে ! সকলে এত সব লিখতে পারেন না । এতটা সৎ সাহস ও স্পষ্টবাদী দেশ প্রেমিককে সহস্র সালাম । সুন্দর কাব্য উপহারে- সাধুবাদ । এ দেশাত্মবোধক কাব্য পাঠে জন মানসে সত্যের প্রতিফলন ঘটুক ।