কবি পরিচয় > কবি, “প্রসূন গোস্বামী” একমাস হ’ল সবে আসরে এসেছেন ।
ইংরাজীতে এম,এ -শিক্ষকতা , জন্মস্থান--ঢাকা-বাংলাদেশ ।
১০-০৩-২০২৪, থেকে আজ অব্দি ৪০-টি কাব্য প্রকাশ করেছেন । তাঁর লেখার মুখ্য ধারা ,প্রকৃতি ,মানব সমস্যার মূল বিষয় , প্রেম -ভালোবাসা ।
তাঁর জীবন জিঞ্জাসার কাব্য, “মহাকালের মঞ্চে” তাকে নিয়ে আলোচনা ।
এক দীর্ঘ্য সাতটি স্তবকে কাব্যটি প্রকাশ । জীবনের হাজারো জিজ্ঞাসায় জড়িত এ জীবনবোধের কাব্য ।
প্রথম স্তবকে- অতি সুন্দরে , জীবনের নাট্যমঞ্চের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ,---
"হাসি ,কান্না , রাগের মুখোশ পরে"---- " কালের কাঠের মঞ্চে, মৃত্যুর কালো পোষাকে"- -জড়িত হয়ে , কেবলই মাত্র নাটকের চরিত্রে, অহরহঃ অভিনয় অভিনয় খেলা করে চলেছি আমরা , যদিও অভিনয়ের পরিণতি শেষ-মৃত্যু !
দ্বিতীয়তে-- এখানে বড় প্রশ্ন ? "কিন্তু এই নাটকের স্রষ্টা কে ?" সব কিছু ঘটিত হচ্ছে এক অদৃশ্য শক্তির দ্বারা যেন সুতোর টানে এক খেলনা পুতুলের মত আমরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে পুতুল নাচ- নাচি । কবির প্রশ্ন-- সে পরিচাল কে ? এবং নিয়তঃ কেন আমাদের ভাগ্যকে বুনে চলে !
তৃতীয়তে---"জন্মের মঞ্চে প্রবেশ ,তারুণ্যের উচ্ছ্বাস,
মধ্যবয়সের দ্বন্দ্ব,বার্ধক্যের নিঃশব্দ সুর ।"
কত কত সুন্দরে এ জীবন পরিবর্তনের ব্যাপক ধারা নিপুন তুলিকায়- লেখনীতে তুলে ধরেছেন । আগে আরও বলেছেন এই জীবনে উত্থান-পতন মাঝে কখনো রাজা-ভিখারি কখনো বিজেতা আবার পরাজিত ! এত সব কার ইশারায় সম্ভব !!
চতুর্থতে---এখানেও কবির অহম প্রশ্ন--- "কিন্তু এই নাটকের শেষ কোথায় ?" অতিদীর্ঘ এই নাটকের সার বা কি ? এত সব নাটকের অভিনয়, কর্ম ও ঘটনার পর পর্দা নামার আগে নিজের অস্তিত্ব কি খুঁজে পাব ? না বিশাল জনভীড়ে কোথাও চিরদিনের তরে হারিয়ে যাবে নাতো ? এই, "এক ফোঁটা অভিনয় ?"
পঞ্চমে --কবি এত অভিনয়ের মধ্যেও আস্বাদের আশাভরা ব্যাখ্যা দিয়েছেন ।
"তবুও, খেলি, হাসি, কাঁদি ,ভালোবাসি ,
এই নাটকের মধ্যেই খুঁজি জীবনের স্বাদ।"
এত নিখুঁত ভাবে অভিনয় করেও- কখনো নিজের মনেই ডুবে যাই , ক্ষণিক ভুলে যাই , এই অভিনয়ের মাঝেও জীবনের স্বাদ খুঁজে পাই, "সত্যি কারের জীবন অন্য কোথাও।"
ষষ্ঠতে- কবি এক আত্মবিশ্বাসের প্রশ্ন রেখেছেন --
"হয়তো, আমরাই লিখছি এই নাটকের শেষ,"
অতুল অভিজ্ঞতা ও ব্যবহারিক জীবন নিয়ে কবি মনে করেন , যখন এই অভিনয়ের কোন দৃশ্যমান সূত্রধার, পরিচালক নেই তখন ,
"আমরাই নাট্যকার , আমরাই অভিনেতা, আমরাই দর্শক।"
সপ্তমে-- কবি যেন নিজের কাছে অনেকটা নিজ মনে উত্তর খুঁজে পান ।
"তাই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ,মাথা উঁচু করে খেলি / নিজের গল্প বলি, নিজ সুরে গাই ।"
সর্বশেষে যেন এই "মহাকালের মঞ্চে ,এই ক্ষণিকের অভিনয়েই," কবি যেন নিজের অস্তিত্ব ও স্বাক্ষর খুঁজে পেলেন ।
দ্রষ্টব্য---মানব এক বৌদ্ধিক প্রাণী, মেধা-ধী-শক্তির দ্বারা বিজ্ঞান জ্ঞানে দিগন্ত প্রসারিত জ্ঞানার্জন করেছে । প্রকৃতির মায়াময় কুহেলিকা ধীরে ধীরে অপসারিত হচ্ছে । জীবনের অনেক প্রশ্নের উত্তরের আভাস মিলছে । লক্ষবছরের জটিল বিষয়য়ের উপর , বাস্তবতার উপর নিজ মত ব্যাখ্যা বিশেষ মহত্ত্ব রাখে । তাই কাব্যের বিষয় বস্তু ব্যক্তিগত ভাবে ভাল লাগায় আমার এ লেখার উদ্দেশ্য ।
এক শুদ্ধ-নির্ভুলশব্দ সমাহারে সরলতায় কাব্য প্রকাশ । সর্বশেষে কবিকে ধন্যবাদ , তার সূক্ষ্মজ্ঞানকে স্যালুট জানাই । আগে এমতঃ আরও কাব্য আশা করি ।