কবি পরিচিতি > শেখ মো. খবির উদ্দিন , জন্ম স্থান ,গাইবান্দা-বাংলাদেশ ।
শিক্ষাগত যোগ্যতা- এম,এ , অবসরপ্রাপ্ত > ব্যাংক অধিকারী ।
১ বছর ১১ মাসকাল আসরে আছেন । ৬৫৬টি কবিতা প্রকাশ করেছেন ।
তাঁর লেখার মান দেশাত্মবোধক ,সমাজ সংস্কার ,শিক্ষামূলক কাব্যধারা ।
আজ তাঁর কাব্যে দেশের কথা এক অভাগী শহীদ মাকে নিয়ে আবেগ ভরা কাব্য, "শহীদ জননীর বিলাপ" , আলোচনা নিয়ে এর লোভ সংবরণ করতে পারলাম না তাই ,কবিতা ও নিজ কিছু বিশেষ মতবাদ যা কাব্যে নাই , ঠিক ভাবধারা বুঝতে সরল হবে বলে- তাই জুড়ে আমার এ লেখা- আলোচনা ।
কাব্যভাব এখানে শুধু আলোচনা করব , বাকি মূল কবিতাটি পাঠক দয়া করে পড়ে নেবেন , এক "শহীদ জননীর বিলাপ" ।
যাঁরা দেশর মুক্তি- যুদ্ধকালীন বাংলাদেশের সে নির্মম অবস্থা অনুধাবন করেছেন এবং আজও বেঁচে আছেন তারাই কেবল , অনুভব করতে পারবেন মুক্তিযুদ্ধ কাকে বলে ! যে মা বাবা তখন শাসনের অত্যাচারে ,পরদেশবাসী বা নিজ ঘরে অনাহারে, আঁধারে ,প্রচণ্ড ভয়ে রাত কাটে আর তখন তাঁর সন্তান বুকে বোমা বেঁধে শত্রুর জাহাজ ধ্বংস করে, ট্যাংকের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে, মাসের পর মাস জল- কাদায়-শ্বাপদ ভরা বনে, তাঁরা না খেয়ে যুদ্ধ করে । শুধু একটা নিজস্ব দেশ চাই বলে । সে সময় যে রাজাকার- তারা গাগল কুকুরের মত নারী নিগ্রহ, অপহরণ , গুপ্ত হত্যা , বিপ্লবীদের আড্ডার গোপন সূচনা ,নাম-ধাম, ঠিকানা রণ নীতি, বড় আয়েসে শত্রু পক্ষকে যোগান দিয়ে যায়, দিনের পর দিন, মোটা টাকা ও সম্পত্তি এ সময় অপর জাতির কেড়ে নেয় । বিশেষ করে হিন্দু নির্যানে সর্বাগ্রে থাকে । সর্ব রকমের সহযোগিতা করে পাক সেনাদের ।
যে মা এসব দৃশ দেখেছে এবং বড় আপন করে নিয়েছিল যে তাঁর সন্তান বীর বিক্রমে শত্রুর সাথে লড়ছে । ত্রিশলক্ষ জনক্ষয়, দুই লক্ষ নারী ধর্ষীতা ! কি নির্মম সে দৃশ্য পার করে, দীর্ঘ নয়মাস পরে লাল সবুজের পতাকায় উদয় হয়, নবজন্মে বাংলাদেশ ।
সে পুত্র হারা মায়েরা গর্বে বলতে থাকেন, "আমার সব কষ্ট নির্মূল হল ,এক ভাগ্যবান আমি আমার সন্তান প্রাণ দিয়ে দেশের সম্মান রেখেছে । শত্রুকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে" । পুত্রহারা মা দুঃস্বপ্নের রাত কাটিয়ে, শহীদের মায়ের সম্মানে, সমাজে গর্বে দিন কাটছিল ।
শেষে এখন সেই মা যখন জানল ,সেটা নাকি অকর্ম ছিল ,প্রকৃত স্বাধীনতা না ! তার পুত্রের অপকাজের ফল তাকেও ভুগতে হবে ,ঘোর নিন্দা দ্বারা ! তাঁর অন্ন-জলে রুচি কেড়ে নেয় এ হেন আচরণ দেখে ! চারিদিকে তাঁর সন্তানের অপযশ শুনছে ,সহ্য করতে পারে এক শহীদের মা ? দেশ নাকি এরাই আবার পুনঃ স্বাধীন করল, সেই রাজাকারের সাথে মিলে ! ভাবা যায় সে মায়ের যন্ত্রণার কথা ?
এমনি চারিদিকে এ নিয়ে জয়- জয়কার, লাল সবুজের পতাকা আর থাকবে না ! পুরাতন কৃষ্টি সব পালটাতে হবে , শহীদের মাকেও দেশশত্রু বলা হবে । হায় ! এ জীবন ধিক্কারে ধিক্কারে বাঁচা সম্ভব না, তাই "শহীদ জননীর বিলাপ , "বিধাতা মরণ চাই"।
পরিশিষ্টে আমার বলা , যখন বাংলাদেশে এক সংক্রমণ কাল চলছে ,দেশের নব স্বাধীনতাকে নিয়- এক মতভিন্নতায় দ্বন্দ্ব- ঝঞ্ঝাকাল চলছে । এক কৃপাণ লটকে আছে উপরে, কখন কার মাথার উপরে পড়ে, কথার ফেরে । সে সময় স্বীয়মতে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী প্রবুদ্ধ সে কবিকে সহস্র সাধুবাদ । এক বলিষ্ঠ দেশহিত বিচার পেলাম, বাস্তব বোধের সুন্দর কাব্যে,"শহীদ জননীর বিলাপ"।
আশা করি বহুজনের এ কাব্য ভাল লাগবে , ভবিষ্যতে কবির বিচারের ব্যাপক কদর হবে । এমতঃ মানবতাবাদী সত্যপথের সম্মানী, জ্ঞানীকবিকে সহস্র সালাম ।