কবি সংজয় কর্মকার, ( বৈদূর্য কবি )--৭ বছর  ৬ মাস আসরে, দীর্ঘদিন ধরে আছেন ।
২২৭৯ টি কাব্য আসরে আছে । প্রতিদিন প্রায় আসরে কাব্য লেখেন, তাঁর কাব্যের সার বিবিধ প্রকারের সমাজের প্রায় সব বিষয়ের প্রতি , তবে মুখ্য মানবতাবাদী ধারা পাই । একজন পেশায় হোমিও চিকিৎসক । বাসস্থান শিলিগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ ,ভারতবর্ষ । শিক্ষায় -বিএসসি , ডি-এম- বি- এস ।
কবি তাঁর কাব্য, “কাঁদি শুধু কবিতায়”, এখানে , এক মর্ম বেদনার কথা কাব্যে তুলে ধরেছেন, যা কিনা বাস্তব ঘটনা প্রবহমান, সব সত্য কথা । যদিও সভ্য মানুষ কখনো এমতঃ মনুষ্য আচরণ- ব্যবহার , কক্ষনো চায় না ।
বাংলা দু’ভাগে বিভক্ত কিন্তু তার ভাষা এক । এই ভাষা- সবার গর্ব, বিশ্বে মহান- নাম । সংস্কৃতি প্রায় একরূপতা, কিন্তু ধর্ম আলাদা । মনে হয় এটাই এক বিভেদের কারণ ! তবে নিজ নিজ ধর্ম মধ্যেও প্রচণ্ড বিভেদ চলে, সাংসারিক জীবনে প্রমাণ- বিদ্বেষ জনিত তার কোর্ট-কাছারি  করা মানুষে মানুষে বিভেদ । বাঁচতে, বিভেদ হতে মুক্তধারা কোথায় ? ধর্মই সব কারণ না । এই কারণেই কবির মনে গভীর বেদনা , তারই ব্যঞ্জনা সমস্ত, সুন্দর কাব্য জুড়ে- ভরা ।

"নীড় হারা হয় কেহ আগুনেতে গনগনে ।
পালাবার পথ নাই কাঁটাতার বেষ্টনী"

কত বেদনা ভরা কথা ! অথচ এই মানুষ এই অত্যাচার যন্ত্রণার জন্য দায়ী মাত্র ধর্ম নিয়েই সৃষ্টি। এ ছাড়া আর কোন কারণ দেখি না । এই মন্দির -মসজিদ নিয়ে মনুষ্য সমাজে একই ভাষীর মধ্যে বিভেদের দেয়াল গড়ে উঠেছে , এতে লাভবান কে ?
দাঙ্গা -লুট -অত্যাচার তার যখন দৃশ্যমান নিদর্শন ।
মিছামিছি লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণ হানি ! তখন মানবের মঙ্গল কোথায় ? তবু কি এক নেশায় প্রতিনিয়তঃ এ ধারায় এই মানুষেই চলবে ?

“মানুষের ভেকধারী শ্বাপদের রাজ তলে
মানবতা হত হয়-প্রতি পলে, পলে পলে।”

আগে কবি এও বলেন ,আমরা কি শ্বাপদের রাজ্যের বাসিন্দা, এক মাত্র যখন-তখন প্রতি পল পল তার আচরণে রাজত্ব চলে !

"ভাষা হত হই আমি আশা হত দিন যায়
নাহি কিছু করিবারে কাঁদি শুধু কবিতায় ।"

অগত্যা কবিও অত অন্যায় অবিচার দেখে হতাশায় জীবনের হাল ছেড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ,বলতে চান- “অগত্যা মধুসূদন” তাঁর বাঁচার একমাত্র পথ -সাথী প্রেমী তার কাব্য আর কাব্য লেখা । বড় হতাশার মাঝে জীবন সম্বল সে কাব্য ।

পরিশিষ্টতে আমার কথা >
খাঁটি মানব তিনি অধর্মকে ত্যাগ ও সৎধর্মকে বিবেক দ্বারা গ্রহণ করবেন । নশ্বর এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষকে সুস্থচিত্তে ভাবা উচিত শান্তির উপায় কি , জীবনে মানব মঙ্গলে ক্ষমতা অনুযায়ী কর্ম করা উচিত , কবির কাব্য সে দিকটা ইঙ্গিত করে ।
এক  কথায় মানবতা ধর্মী সময়কালের শিক্ষণীয় কাব্য । সুন্দর ছন্দে সরল ভদ্রচিত ভাষায় কাব্যধারা । সাধুবাদ প্রিয় কবিকে ।