কবি পরিচয় > কবি, “প্রসূন গোস্বামী” পাঁচমাস হ’ল আসরে আছেন ।
ইংরাজীতে এম,এ -শিক্ষকতা , জন্মস্থান--ঢাকা-বাংলাদেশ ।
১০-০৩-২০২৪, থেকে আজ অব্দি ১৬০-টি কাব্য প্রকাশ করেছেন । তাঁর লেখার মুখ্য ধারা ,প্রকৃতি ,মানব সমস্যার মূল বিষয় , প্রেম -ভালোবাসা ।
তাঁর আপন মনোবাঞ্ছা নিয়ে কাব্য, "কবির আত্মপ্রকাশ" তাকে নিয়ে আলোচনা ।
একটা দীর্ঘ কাব্য, তার দু’টো পংক্তিতে ভাগ করে এখানে কবি মনের কথা ব্যক্ত করেছেন । অতি সরল সহজ কাব্য, সবার বুঝতে কোন ঘুর-প্যাঁচ নেই । আমি এক বিশেষতা খুঁজে এই পেলাম যে-- একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ আর লেখক, কবি, তিনি দেশে কি চাইছেন ? নাগরিকতায় যে দেশে যে মানুষই থাকুন না কেন ? যদি নিজ এবং সমাজ, দেশ মঙ্গলে কিছু করে, আত্মভোলা হয়ে জয়গানে জীবনটা সুখে-শান্তিতে কাটাতে চান তবে ক্ষতি কি ? তার জন্য তো ভাষা-লিংগ-প্রান্ত -বর্ণ-ধর্মাচার এই সব ,আরো কোন বৈষম্য তো বাধা হতে পারে না ? বড় কথা, কবিদের নিয়ে ,কবি সাধারণতঃ নিজের কথা বলেন না । বলে বিশ্বভ্রাতৃত্বের কথা, জনতার মঙ্গল কথা ,তাঁর উদ্দেশ্য থাকে তাঁর কথায় যেন প্রেম- প্রকৃতি, সোহাগ ভরা থাকে ,সবে যেন একে অপরে মুগ্ধ হয়, তার সুহৃদ আচরণে । তারপর কথা আসে মুক্ত বিহঙ্গের মত ডানা মেলে দেশে বিচরণ , ফল-ফুল-পাতা, প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ দু’নয়নে কোমল হৃদয়ে শান্তির পরশ উপভোগ করতে চায় । কবি এখানেই তাঁর সমস্ত মনোবাসনা ব্যক্ত, তৃপ্ত করতে চেয়েছেন । এই প্রকৃতি ঘেরা রমরমা- সুশীতল বাংলাদেশে কবির জন্ম- তিনি ধন্য । এখানে চান তার জীবন পরিচয়, চান এখানেই অতীতের জীবন এবং আগের জীবনের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে, তাঁর শুধু একটাই আদর্শ, একই দিকের যাত্রারত পথিক- প্রকৃতিকে উপভোগ , সেখান থেকে কাব্য সম্ভার নিয়ে শব্দসুরে একমাত্র মালাগাঁথা, যা কিনা কবির জীবনদায়িনী প্রেরণা কবি হয়ে আত্মপ্রকাশ চান, ভালোবাসা, এই দেশের প্রতিটি জন-প্রাণী, প্রকতি মাটির প্রতি প্রগাঢ় আদর স্নেহ । কেহ জানুক ইতিহাসে তাঁরও নাম বাংলার কবি হয়ে থাকুক এ দেশে, এমন কিছু করে যেতে চান যা কিনা তাঁর শেষ নিঃশ্বাস এখানে বিলীন হয়, তাঁর আত্মায় যেন শান্তি ও তৃপ্তি পায় ‘কবির আত্মপ্রকাশে’, এই পূণ্য ভূমিতে ।