যখন ধর্মের হয় নি উদ্ভব
মনুষ্য আত্মায় ছিল মহানুভাব
নিজ-নিজ গুষ্টি- কবিলা ,
তারা ভালোবাসত মেলা ।
অজানা লুট, মিলত না ধন
বুঝত না পর সম্পদ অপহরণ ,
সকলে ছিল, নিঃস্ব- শ্রমজীবি
ছিল না সংগ্রহের- হবি ।

মনুষ্য দ্বারা উদ্বৃত্ত সম্পদ -
ডেকে আনে আপসে আপদ ,
জন্ম দেয় পরশ্রীকাতরতা -
হারায় মানবিক ভব্যতা ;
একে অপরের শোষণ জন্য
লুট, ডাকাতি, করে মান্য ।

এসবে এই সেদিনের কথা -
রূপ বাড়ায় ধর্মধারী মাথা ,
লুটে বাড়ে রুচি অগাধ -
ধর্মে নাকি মান্য বিধর্মী সম্পদ !

তারা এত যে নিষ্ঠুর- নির্দয়ী -
হয় মানব হত্যাকারী, নির্ভয়ী ,
হার-ও মানে সেথা জল্লাদ !
মান্যতা দেয় ধর্মধারী ওস্তাদ ।

সর্বত্র দস্যু সংগঠন গড়ে -
উন্মাদী এ ধারা চলে -
সংক্রমন, প্রজন্মে বাড়ে -
লুট চলে, জনপদ স্থলে ।
এ ব্যাধিরে ভাবে জয় -
এ নাকি জাত্য ধর্মের উদয় !
বলে, অধর্মী মানুষ ক্ষয়
এতে কি অন্যায় হয় ?

প্রতিটি জয় নিজ মাঝে
পাপ সহ্য করে -মুখ বুজে ;
এ কাজে ধর্মের জামা পরায়
এ ,শান্তিধর্ম নামে চালায় ।
উজানে মৃত্যু বাড়ে খুব
দস্যুরা হয় না হাবুক !
কর্ম-ধর্মে বন্যতাও হারায় -
পথটি মান্য, এমনি ধারায় ।

দুঃখ, আর দুঃখ !
ইতিহাস হ’ল সাক্ষ্য
অযুতের সমর্থনে সে পরাণ
ধর্মের বাড়ায় মর্যদা- মান ।

এ ধর্ম এখনো শতগুণে
সহজ দিগ্বিজয়ী রণে ,
চাহ-আশায়, দেয় জান ,
নিকৃষ্ট ভাব এখনো বিদ্যমান ।

সংসারে প্রযুক্তি বিদ্যায় -
এমতঃ অন্ধ ধর্মের আত্মায়
আজ ভরা নীল- আসমান ;
বারুদে-বারুদে নিচ্ছে স্থান ।
দিকে দিকে বীভৎস রূপ -
সাক্ষাৎ প্রমাণে মিলছে খুব -
সেই ধারায় ,আজও পৃথিবী ,
অন্য রূপে দস্যু আঁকছে ছবি -
আজ, স্তম্ভিত পৃথিবী !

(১৮-০৯-২০২৪)--ভ্যাংকুভার , কানাডা ।