একটি বীজ পড়েছিলো কালের গহ্বরে,
তখন ভাষা ছিলো বন্দী,
শব্দরা অসহায় শিকলে বাঁধা,
কণ্ঠস্বরে তালা দিয়ে রেখেছিলো অন্ধ সময়।

তারপর এল ঝড়
রক্ত মিশে গেলো মাটির গভীরে,
পলাশ ,গোলাপ নয়,
জন্মনিলো এক অমর বৃক্ষ,
যার পাতায় পাতায় লেখা ছিলো
স্বাধীনতার প্রথম কবিতা।

শব্দেরা মুক্তি পেলো,
বাক্যগুলো ছুটে গেলো আকাশের দিকে,
ভাষা পেলো নিজের উচ্চারণ,
শেকড়ের শাখা প্রশাখা প্রাণপণে আঁকড়ে
ধরলো নরম মাটিকে ৷

আজ, সেই বৃক্ষের ডালে
অজস্র পাখি বসে—
তারা কি বাংলায় গান গায়?
নাকি অন্য ভাষার শব্দ তুলে
হারিয়ে যাবে উড়ে যাওয়ার নেশায়?

একুশ আসে,
পথে পথে অঞ্জলি পড়ে,
লাল ফুলে  ঢেকে যায় শহীদ মিনার,
মনের গভীরে  স্মৃতি বেঁচে থাকে ,
ভাষা কি আবার হারিয়ে যাবে
চিহ্নহীন শূন্যতায়?