বাবা ছিল কসাই, মা এক অন্ধগলির বিষণ্ণ মেঘ,
জন্মের সময় ওজন দশ পাউন্ড,
ডাকনাম—বৃষ্টি,
বাড়ির মেয়েরা ডাকে—ঝড়, ঝড়তুফান।

শৈশব কেটেছে কাঁটা ঘুড়ির মতো,
বাতাসে উড়ে গেছে স্বপ্নের রঙ,
বুকের ভেতর এক বন্দী পাখি ,
অন্ধকার জানালায় দীর্ঘ অপেক্ষার ছায়া ।

বৃষ্টির সকাল - ফ্যাকাশে ঘামের গন্ধ,
উড়ে আসা পরিত্যক্ত খবরের কাগজ,
শুকনো মেঠো পথে জমে থাকা
এক মুঠো অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতি।

বৃষ্টির  রাত - এক বাটি কান্নার জল,
মাতালের কানাকনি কখনো চিৎকার
বদ্ধ ঘরের কোণে দীর্ঘশ্বাসের ধোঁয়া,
অন্ধকারের নিঃসঙ্গ  সারি গান।

বৃষ্টি এখন মাত্র ষোল
তবু শহরের পথে সে ছায়া হয়ে হাঁটে,
ভবিষ্যৎ আঁকতে আঁকতে,
নিজেই এক ভবিষ্যৎ হয়ে ওঠে।

একদিন, ভোটের আগে ওরা এলো ,
ভাঙা টেবিলে সাজিয়ে দিলো
পাউরুটির মতো ভঙ্গুর স্বপ্ন।
পথের ধুলোয় পড়ে থাকা লিফলেট
উড়ে এসে লাগল মেঘলা মুখে ৷

বৃষ্টি  হঠাৎ কেমন বড় হয়ে গেছে,
জেনে গেছে—ভোট মানে ভাঙা সেতুর প্ররোচনা ,
ভোট মানে প্রতীক্ষার মেঘ
তুষার হয়ে ঝরেনা কখনও ৷