ছায়া দেয় না কেউ
ছায়া খুঁজে নিতে হয়
নিঃশব্দে, সুনিপুণ ভাবে।
আমরা হাঁটি দ্রুত কিম্বা ধীরে
ছায়া চলে পাশে কখনো পেছনে
নির্বিকার অনুসরণ
অঙ্ক কষে
প্রতি ধাপে কতটা ভুল থেকে যায় ৷
চেনা ছায়া, ভাঙা ছায়া, আরো কত—
দুপুরের ক্লান্ত আলোয় বিশ্রামে থাকে,
কখনো মেঘের মতো গুমরে কাঁদে ,
কখনো ডুবে যায় নদীর গহিনে,
পরাজিত মাছরাঙা পাখির মতো।
ছায়া দেখেনা কিছু,
তবু জেনে যায়
কোন দিকে ফেরালে মুখ চোখে জমে জল,
কোন কথা বলার আগেই
ফুসফুস শূন্য হয়ে যায়।
এক ছায়া, দুই ছায়া, তিন ছায়া
তারপর আরো কত
বারবার ফিরে আসে,
এতো বিভ্রম নয়, নিজস্ব প্রতিচ্ছবি,
বানাই আমরা নিজের তাগিদে
আলোর বিপরীতে দাঁড়িয়ে,
চুপিচুপি, প্রতিদিন।