[অসমাপ্ত – ৪]
আজ মেট্রোতে হঠাৎ
এক অপরিচিতা কে দেখলাম
ঠিক তোমার মতো ছিল না,
তবু তার চোখের কোণে ছিল
আকাশ ভাঙা অভিমান ,
যা শুধু তোমারই হতে পারে।
আমি তাকিয়েছিলাম একটু বেশিক্ষণ,
সে ফিরেও তাকায়নি—
তবু আমার মনে হল,
চোখ নামানোর আগেই
আমাদের মধ্যে
অজস্র কথা হয়ে গেছে ।
স্টেশন এল, সে নেমে গেল,
আমি দাঁড়িয়ে রইলাম দরজার পাশে—
হাতের তালু ঘামে ভিজে,
আর মনের ভিতর চলতে থাকল
অজস্র অসমাপ্ত সম্ভাবনার গল্প।
তুমি হলে কি সত্যিই চিনতে?
নাকি আমরাই বদলে গেছি এতটাই,
এখন চেনা মুখগুলো
অচেনা সময়ের প্রলেপে
ঢাকা পড়ে গেছে ৷
[অসমাপ্ত – ৫]
এই শহরের গলিগুলো এখনও আমাকে চেনে,
চেনে সেই নির্দিষ্ট রাস্তাটা,
যেটা একসময় তোমার বাড়ির দিকে যেত।
আমি আর হাঁটি না সে পথ ধরে—
তবু পায়ের ভাঁজ কখনও কখনও
সেই দিকেই টেনে নিয়ে যায়।
তোমাকে ভুলে গেছি—
এই কথাটা আজকাল
নিজেকেই প্রতিদিন বলি আয়নার সামনে।
ভুলে গেলে কি এমন হয়?
যখন হঠাৎ ইলশেগুড়ি বৃষ্টির আসে
তোমার খোলা চুলের কথা মনে পড়ে যায় ৷
আমি জানি,
তুমি আর আসবে না—
আমিও আর ডাকবো না।
তবু সন্ধ্যার আলোগুলো
যখন একে একে জ্বলে ওঠে,
তখন মনে হয়—
কোনো ভুলে যাওয়া নাম হয়তো
এই বাতিগুলো জানে এখনো।
[অসমাপ্ত – ৬]
এখন আর রাতে ঘুম ভাঙে না,
তুমি স্বপ্নেও আসনি বহুদিন
তবু বালিশের পাশে
একটা ফাঁকা জায়গা থাকে,
যেখানে কিছুই রাখি না,
কারণ তুমি না থেকেও
সেখানে থেকেই গেছ আজও।
আমি এখন দিনে ব্যস্ত থাকি,
ফোন বেজে ওঠে, মেইল আসে,
কফি ঠান্ডা হয়ে যায় সময় পাই না,,
আর সন্ধ্যে নামলে—
শুধু একটা আলো জ্বালি বারান্দায়,
তোমার নাম ভেবে নয়,
শুধু অভ্যাসে।
বন্ধুরা এখন বলে,
"ভালো আছিস তো?"
আমি হেসে বলি—"খুব।"
কারণ এই উত্তরটা
সবচেয়ে নিরিবিলি,
তেমন কিছু বোঝায় না,
তবু অনেক কিছু চাপা পড়ে যায়।