[অসমাপ্ত – ১]
তোমার নামে যে চিঠিটা লিখেছিলাম
তাতে কোনদিন ঠিকানা লিখিনি
শুধু  ভাঁজ করে রেখে দিয়েছি
ডায়েরির ভিতর,
যেখানে পুরোনো পাতাগুলো
কান্না শুষে নেয় শব্দের আগে।

চিঠির শেষে লিখেছিলাম—
"যদি কখনো ফিরে আসো
দেখবে একটা বাবুই পাখির বাসা
আগলে রেখেছি যা শুধু তোমার ৷"

আজও  ডাকবাক্সের কাছে দাঁড়ালে
হাত কাঁপে,
চিঠিটা পোস্ট করি না
কারণ কিছু কিছু কথা
পৌঁছানোর জন্য নয়,
অধরাই থাকুক বলে লেখা হয়ে থাকে ৷

[অসমাপ্ত – ২]
তুমি চলে যাওয়ার দিন
আমি  দরজা বন্ধ করিনি,
তবু শুধু জানালা দিয়ে ঢুকছিলো বাতাস,
উড়ছিল এলো চুল,
আর তোমার ছায়াটা
আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছিল দেয়ালের কোণে।

আমি কিছু বলিনি।
শুধু এক গুচ্ছ  চামেলি ফুল
জলপাইরাঙের  ডায়েরির মাঝে রেখে ছিলাম—
তুমি হেসেছিলে খিলখিল করে ,
তারপর বলেছিলে,
"ফুল শুকিয়ে গেলে ঘ্রাণ থাকে না।"

আজ সেই ফুল ভেঙে গেছে
তবু আমি ডায়েরি খুলিনি ,
কারণ, কিছু কিছু সৌধ
ভাঙার জন্যেই তৈরি করা হয় ৷

[অসমাপ্ত – ৩]
মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে
তোমার নামটাই আগে মনে পড়ে।
না, এখন আর কষ্ট হয় না,
তবে ভারি একটা কিছু
বুকের ওপর চেপে বসে ,
যা কখনই সরাতে পারিনা ৷

তোমার স্মৃতি কিছুই রাখিনি,
তবু কোথা থেকে যেন
তোমার সেই হাসির মতো  শব্দ
মাঝে মাঝে ঢুকে পরে জানালার পর্দা সরিয়ে ।

এইসব নিয়ে কাউকে কিছুই বলি না,
তবু মাঝে মাঝে লিখে ফেলি—
তোমার নামহীন গল্প।
তার পাশে লিখি না
ভালোবাসি,
শুধু রেখে দিই,খোলা পেন, খাতা
যেন তুমি এসে কোনদিন
শেষ লাইনটা নিজেই লিখে যাবে।