শুভ্র মুখার্জি, পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি,এম.এ. পাশ,
কিশোর বয়সে  বিধবা ভাতা রেখে বাবা
চলে গেছেন,মায়ের চোখে চিরস্থায়ী শূন্যতা।
প্রেমিকা বলেছিল— "আর মাত্র দু'মাস, তারপর..."

চাকরি, শুধু একটা  চাকরির খুব প্রয়োজন ৷
বলাই কাকু ফোন তুললেন, "আমি দেখছি.
একটু অপেক্ষা কর।"অপেক্ষার সংজ্ঞা বাতাস জানে,
নদী জানে, অরণ্য জানে,কিন্তু শুভ্র জানত না।

বাতাস খবর দিল নদীকে,নদী বলল আকাশকে,
আকাশ শুনে রইল নীরব।
নীরবতা কখনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি নয়,
নীরবতা কি শুধু অপেক্ষা শেখায় ?

সে দিন সন্ধ্যায়, গলির মোড়ে,অনেক লোকের ভিড় ,
শুভ্র শুয়ে আছে, রাজনৈতিক পতাকায় ঢাকা।
শুভ্র শিখেছিল শুধু শব্দের ভেতর বাঁচতে।রাজনীতিতে নয়, এম.এ. পাশ করতে যত অক্ষর লাগে,সব লেগে আছে ওর নিষ্প্রাণ শরীরে ৷

ক্রমাগত ফোনটা বাজছে, পৌরপতি সরকার দা
সব ব্যবস্থা করছেন।
বাতাস হাসে, নদী বয়ে যায়,
মা ও কাঁদতে কাঁদতে কখন ঘুমিয়ে পড়ে।

পরের দিন কাগজের ফ্রন্টপেজে ছাপা হোল
৩২ বছরের যুবকের অস্বাবিক  মৃত্যু,
পত্রিকার কালো হরফ জানে,
জানে ঝুলে থাকা শোকের ব্যানার,

শুভ্রও জানে সে মিছিলের স্লোগান হয়ে বাঁচবে,
একটা চাকরি পেলে হয়তো বাঁচত না!