এইতো ক’দিন আগেই! তুমি-আমি, চাল-চুলো, ঘর-দ্বোর সবই ঠিক ছিলো।
ঘন কুয়াশায় মোড়ানো রূপালী চাঁদের রাতে পরম্পরার গান, কতো কথার কাকলি…
স্মৃতির চৈতন্যে আজ ভর দুপুর, ঘুম কাতুরে স্বপ্নচারিনী!
উত্তরে ডাহুকের স্বপ্নভঙ্গের প্রতিধ্বনি!
বড় অসময়ে ‘তুমি’ আকাশের তারা হয়েছো…!
রেখে গেছো অপার বিস্ময় জাগানিয়া, একটি ইতিহাস, ‘বাংলাদেশ’।
আমি যুদ্ধ দেখিনি, দেখেছি বয়োবৃদ্ধ পিতার চোখে একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু, সভ্যতার আড়ালে বয়ে বেড়ানো ‘বীরাঙ্গনার’ গায়ের কালোত্তীর্ণ দগদগে পাশবিক ক্ষত।
দেখেছি এই জনপদের হাজারো মর্মন্তুদ করুণগাথা।
বিজয় দেখেছি মুক্ত মননে, চেতনে করেছি ধারণ ‘সাত কোটি বাঙালের স্বাধীনতা’।
তবুও, আহত সময়ের ধ্বনি হাঁকে বারবার…
বিধবার শুভ্র বসন তাই শান্তির আহ্বান জানায়।
যুদ্ধ ফেরত কতো স্বপ্নবাণ যুবক আগামীর মুক্তি মিছিলে,
কোমরের গামছা দিয়ে ‘স্বাধীন পতাকা’ বানায়।
এই দিনে বিজয়ী সেনানী পায় ‘রাষ্ট্রীয় সম্মাননা’।
যুবতী বধুর ক্রোড়ে চাঁদের হাসিতে প্রলুব্ধ করা উত্তর প্রজন্মের নামও ‘মুক্তি’।
এই মাটি আজ মুক্ত, উজ্জ্বীবিত এই ভূখণ্ডের মানবিকতা।
দৃপ্ত পথ, সমৃদ্ধির আখ্যান, প্রতিভার স্ফুরণ, সমন্বিত প্রচেষ্টা আর উজ্জ্বল সম্ভাবণা।
আমি বিজয় খুঁজেছি, পড়শীর সেই উদাস চাহনিতে, দূর দিগন্তে,
আলোকিত বাংলাদেশের চিরচেনা মায়াবী দৃশ্যপটে, শান্তির আগামীতে ৷৷