প্রগাঢ় নীলের মধ্যবিন্দুতে ,
              বিকেলে ডানা ঝাপটানো সাদা বকের সারিতে ,
               রাত দুপুরে ভুতূম প্যাঁচার গম্ভীর ডাকে ,
               একটা হাহাকার যেন চড়ে ওঠে বুকের ঠিক মধ্যখানে।


          আকাশের তারারা যেন আদিকাল থেকে কিছু বলতে চায় ,
           বাতাসে বাতাসে বুনো হাওয়ায় চলে কানাকানি ।
           চাঁদটা একা একা আর কতকাল পার করবে সময় ,
          জ্যোৎসা ঝরাতে  আজকাল ওর   বড্ড ক্লান্তি  লাগে  ।


              সেই কবে থেকে পাহাড়গুলো  ঠায় দাঁড়িয়ে আছে,
              সাগরে তবুও জলের স্রোত বহে ,প্রাণহীন নয় ।
              সবকিছুতেই যেন একটা বিষাদের ছাপ জাপটে আছে ,
              আদ্ভুদ এক ঝিমুনি রোগে যেন গোটা বিশ্ব আটকে ।

     দুপুর বেলার সময়টুকু  আরো ভয়ংকর মনে হয় ,
      মেজাজ লাভার মতই তপ্ত হয়ে ফুটতে থাকে ।
     চেনা পরিচিত প্রিয় মানুষকে তখন গালি দিতে ইচ্ছে হয় ,
     মন চায় তখন সব ছেঁড়ে ছুড়ে পালাই কোন অজানা জংগলে ।


              মানুষগুলো বড়ই অদ্ভুদ , বন্য চিড়িয়া থেকেও হিংস্র ,
              ঝগড়া-বিবাদ , আত্মসাৎ  ,সম্পদ ,নেশা
             এ ছাড়া যেন কিছুই বোঝেনা ,অন্ধ-বিবেকহীন
             হাড়-মাংসের স্তুপ ছাড়া এরা আর কিছুই না ।


            
               সব কিছুতেই একটা মেকি মেকি ভাব ,
               মুখোশের আড়ালে সবাই ভাল ।
               জ্ঞান দানের  আড়ালে থাকে লোভাতুর জ্বিব্বা ,
               পৃথিবীটা ভরে গেছে  পচা-গলা কিছু নরকের কীটে ।