খোলা জানালা দিয়ে এক টুকরো রৌদ এসে পড়েছে ঘরের মাঝখানে,
বিছানা ছেড়ে বারান্দায় এসে দাড়ালাম।
বাইরের আকাশটা মেঘে ছেয়ে আছে।
কোথাও মেঘের রঙ কালো, কোথাও সাদা,
কোথাও টক টকে লাল।
এখন শেষ বিকাল,
সূর্য টাকে দেখা যাচ্ছেনা।
হয়তবা! এই বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছেনা।
লাল সূর্যটা হারিয়ে গেছে উঁচু দালানের আড়ালে।
শুধু তার শেষ আভাটুকু দালান গুলোর মাথার উপর দিয়ে আকাশে ছড়িয়ে আছে।
মনে হচ্ছে দূরের দিগন্তে কোথাও যেন আগুন লেগেছে,
তার উত্তাপ থেকে বাঁচবার জন্যে টুকরো টুকরো মেঘগুলো ছুটছে আরেক দিগন্তের দিকে।
পাশের বাড়ির ছাদে, মেলে দেয়া কোনো এক কুমারী মেয়ের হাল্কা নীল শাড়িটা বাতাসে উড়ছে।
আরো দূরের আকাশে একটা চিল একা একা ঘুরছে,
শেষ বিকালের সোনালী আভায় পাখিটা চিকচিক করছে,
পুরো শহরটা একটা থমথমে ভাব নিয়ে রাত্রির অপেক্ষা করছে।
হটাৎ কলিং বেল্টা বেজে উঠলো,
দর্জাটা খুলে দেখি আমার কল্পনার রাজকুমারী।
কিছুক্ষণ দৃষ্টি আকর্ষন করে ছিলাম দুজনে,
তার ডাকে চেতনা ফিরল।
একটা রঙিন খাম দিয়ে চোখের কোনায় পানি নিয়ে চলে গেলো।
কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না,
খাম থেকে কার্ডটা বের করলাম।
একটি বিয়ের কার্ড।
কার্ডটিতে আমাদের দুজনের নাম লেখা ছিল,
তোমার নামটা কার্ড এর ভিতরে, আর আমার নামটা কার্ডের বাহিরে।