ছোট্ট একটা বাড়ি থাকবে,
শহরে নয়, শরতলীতে, যেখানে সবুজ ঘাসের রাস্তা
থাকবে নীল আর সবুজের সমাহার,
মাঝে মাঝে তুমি আমি সবুজ ঘাসের রাস্তা হাঁটবো,
আমার হাতে থাকবে তোমার হাত।
সকাল কিংবা সন্ধ্যায়। নগরীতে লোকজনের ভিড় থাকবে না,
আমরা নিরালা পথে মন খুলে গল্প করবো,
আজকের বিকালটা বড় সুন্দর, তাই না?
কালও এমনটা ছিলো।
চিরকাল যদি এমনটা থাকে?
তাহলে বড় একঘেয়ে লাগবে।
সহসা শব্দ করে হেসে উঠবে তুমি। হয়তো বলবে, একটানা সুখ চাই না, মাঝে মাঝে দুঃখের প্রয়োজন আছে, তা না হলে সুখ কে বুঝবো কেমন করে?
আমরা কথা বলবো।
আরো অনেক কথা।
কখনো কানে কানে, কখনো মনে মনে, কখনো নীরবে, নিবৃত্তে।
তারপর আধার নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বাসায় ফিরে আসবো।
সামনের বাকানো বারান্দায় টেবিলের ওপর দু'কাপ চা,
গরম চায়ের উত্তাপ যেন বার বার দেহকে স্পর্শ করছে এসে।
বাইরে অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থেকে ধীরে ধীরে চায়ের কাপে আমরা চুমুক দেবো।
কি ভাবছো?
কিছু না।
আমার কি মনে হচ্ছে জানো?
কি?
তোমার কপালে যদি একটা তারার টিপ পরিয়ে দিতে পারতাম।
দেখো পূর্ণিমা চাঁদের আলোয় আজ পৃথিবীটাকে আলোকিত দেখাচ্ছে,
সেই আলোর থেকে তুমি আরও উজ্জ্বল আলো।
হটাৎ! কালো মেঘে আকাশটা ছেয়ে যাবে,
প্রোক্ষণে ফোটা বৃষ্টি বিন্দু হয়ে তোমার হাতে পড়বে, সেই বিন্দুকে ঘিরে আমি থাকব,
প্রোক্ষণে বৃষ্টি আমাদের ভিজিয়ে দিবে।
দু' দুজনাকে জরীয়ে ধরে ভিজবো।
তোমাকে বৃষ্টির ভেজা মুখে আরও সুন্দর দেখাবে। হটাৎ বিকট শব্দে বিদ্যুৎ চমকাবে।
তুমি শক্ত করে জরিয়ে ধরবে আমায়।
নিজের অজান্তে তোমার ঠোটে আমি চুমু আঁকবো, কিছুক্ষন!