যখন দেখা হয় শহরে তোমার সাথে,
দূরে চলে যাও নিসর্গ ভালবেসে,
গ্রামনিসর্গের মধ্যে দেখা হয়,
তুমি মুখ ফিরিয়ে উল্টো পথে হাটা দাও।
হাতে হাত রেখে আমি জুড়ে দেই
ভালবাসার আলাপ।
তুমি নিভাও অযথা মোমবাতি,
তুমি দু’পা মুড়ে বসো তোমার কান্নার ভেতর।
মেঘপালকের বিনয় দু-চোখ নিয়ে
বলি তোমাকে,
আমাকে বাঁচাও।
তুমি দীর্ঘ করাঙ্গুলে খুঁটতে থাকো তোমার
গা- ঘেষা বিড়ালের পিঠ।
তোমাকে নেই আমার বাহুর ভিতর,
তুমি সূর্য্য পেখম মেলে আমার পিছনে
ময়ূরীর মতো।
আমি হাটু মুড়ে বসি ফুল বাগানের ভিতর।
তুমি তখন তারাদের জ্যামিতি নিয়ে মুখর,
আমি পাগলের মতো আচঁড়াতে থাকি মাটি,
তুমি গোলাপ কুন্ডে মুখ লুকাও,
মোমের আলোতে বসে ঠিক করি পরবর্তী কৌশল,
তুমি কাপতে থাকো ভুমিকম্পের মত।
তোমার মত দীর্ঘাঙ্গানী কাউকে দেখলেই
আমি ঠিক থাকতে পারিনা।
তুমি জানালায় হেলেন দিয়ে আমার
পাগলামিকে তুলাধনা করো।
আমি পাতার ঠোঙ্গায় ঝরা ফুল নিয়ে
তোমার পিছনে দৌড়াই,
তুমি ততক্ষনে পেরিয়ে গিয়েছ
নক্ষত্র বিহীন পৃথিবীতে,
কুয়াশার অতলে।