আমরা দুজনে মিলে তৈরি করেছি একটা শহর,
প্রেম ও সকল রঙ আর স্থাপত্য দিয়ে সে শহরে মানুষেরা,
আমার সপ্নের ভাষায় কথা বলে।
তারা কন্ঠে সুর নিয়ে গান করে শহরের সব ক'টি লোক,
ওখানে বৃষ্টি ঝরে নয় মাস জুড়ে,
নির্জন হয়ে নামে শীত,
সকলেই জানে সকলের নাম।
সকলেই খুশি হয় সকলের সুখে,
কারো মন খারাপ হলে হরতাল হয়,
সরকারি ছুটি থাকে নাটকের দিন,
ওখানে ব্যাংকে জামানত নেয় মানুষের হাসি।
ওখানে শ্রীচৈতন্য আর শা'জালাল
মানুষকে সুগব্দি মুখে মানুষের কাছে বসতে বলেন।
খিদে পেলে!
সকল বাড়িতে সকলেই গিয়ে ভাত তুলে খায়,
ওখানে দরজায় কোনো তালা নেই,
সকলেই খুলে রাখে সকল সময়।
সে শহরে বিয়ের গাড়ি সাজিয়ে দেয় পুলিশের লোক,
আর্মিরা স্কুল করে শিশুদের সাথে,
উকিলরা বেকার আর প্রশাসন চলে লোকসঙ্গীতে,
অধ্যাপকেরা শেখায় নন্দনতত্ত্ব।
নেতারা ব্যাখ্যা করে কথা বলার কলাকৌশল,
চা বাগানে মানুষেরা শখে কাজ করে,
রিকশায় উৎযাপন করে বর্ষার রুপ।
সে শহর গড়েছি আমরা দুজন,
এক যুগ পাশাপাশি বসে নীরবতা,
হাসনাহেনা-শিউলী-বকুল এর গন্থের শব্দ ঘেঁটে সাজিয়েছি নাম।
শহরের সবগুলো পাড়া বাড়ি মানুষ
আর বৃক্ষরাজি পথের বিন্যাস করেছি চিত্রকলা থেকে,
কারখানায় মেশিনকে দিয়েছি রবি ঠাকুরের সুর,
জীবনানন্দের প্রকৃতি এনে সাজিয়েছি শহরের মাটি ও আকাশ।
আমরা দুজুনেই শুধু সে শহরে থাকি,
আর সপ্নের সুতায় গাঁথি রঙধনুর সব ক'টি রঙ।
ঐ যে আমাদের শহর।